জুমার নামাজে তুরাগতীরে লাখো মুসল্লির ঢল
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে লাখো মুসল্লির সমাগম। বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন দেশের মুসল্লি। এই লাখো মুসল্লি আজ শুক্রবার ইজতেমার ময়দানে অংশ নিলেন জুমার নামাজে। দুপুর পৌনে ২টায় জুমার নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২টায়। ময়দানের সব জায়গায় ছিল মুসল্লির ভিড়।
এর আগে আজ ভোর থেকেই ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে যেতে থাকেন। জুমার নামাজের সময় যত ঘনিয়ে আসে, বাড়তে থাকে মুসল্লির ভিড়।
এর আগে ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আমবয়ান করেন দিল্লির মুরব্বি মুফতি ওসমান। বাংলায় তর্জমা করেন মুফতি আবদুল্লা মুনছারী।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা ফজরের পর থেকেই তাবলিগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন। ইজতেমা শেষে তাঁরা তাবলিগের দাওয়াত বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাত নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন। এ লক্ষ্যে ইজতেমা থেকে বিভিন্ন মেয়াদে জামাত গঠন করা হবে।
দ্বিতীয় পর্বের পরিচালনা কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ও ব্যবস্থাপনা সমন্বয়কারী ওয়াসেফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসছেন না। এ কারণে তাবলিগ মারকাজের ভারতের নিজামুদ্দিনের পক্ষ থেকে ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিয়েছে। তাঁদের তত্ত্বাবধানে ইজতেমার কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকেই শুরু হয়েছে প্রাক প্রস্তুতি বয়ান। কনকনে শীত উপেক্ষা করে মুসল্লিরা এসেছেন ময়দানে। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা।
দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে মাওলানা সাদ কান্ধলভী মনোনীত দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের ৩২ সদস্যের জামাত ময়দানে আসে। এ জামাতের নেতৃত্বে রয়েছেন শূরা সদস্য মাওলানা আবদুস সাত্তার। এ জামাতকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের শূরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও মুফতি ইজাহার আহমেদ। এদিন ইজতেমার বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিতদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান (নজমের বয়ান) করেন ভারতের মাওলানা মুফতি রিয়াজুর রহমান।