জুলাই থেকে ফের গণহারে করোনার টিকা : মুখ্য সচিব

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

সবকিছু ঠিক থাকলে সরকার আগামী জুলাই মাস থেকে পুনরায় কোভিড-১৯ এর গণটিকা কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে টিকা সংগ্রহে সরকারের নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি বাড়ি বিতরণ উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মুখ্য সচিব বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি, জুলাই মাস থেকে হয়তো আবার গণহারে টিকাদান শুরু করতে পারব।’

টিকা পেতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মুখ্য সচিব বলেন, ‘আমরাও যোগাযোগ করে চলেছি। এরই মধ্যে আমরা কয়েকটা দেশের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রত্যাশা করছি খুব দ্রুত আমরা পাব। প্রতিদিনই অন্ততপক্ষে একেকটা দেশ বা কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। একই সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশেও টিকা উৎপাদন করার চেষ্টা করছি।’

টিকা কেনার জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, ‘অর্থাৎ আমরা কিন্তু কারও দয়া চাই না। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সব সময় বলছেন, আমাদের ফ্রি দরকার নেই। আমরা টাকা দিয়ে কিনব। যেখানে পাওয়া যায় সেখান থেকে কেনা হবে এবং আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।’

টিকা সংকট প্রসঙ্গে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বর্তমানে ভ্যাকসিন মার্কেটটা সেলারস মার্কেট, কেউ বিক্রি করছে না। আমরা পৃথিবীর সব জায়গায় চেষ্টা করেছি প্রথম দিন থেকে, তখন আমাদের কাছে যে অপশনটা ছিল সেটা আমরা গ্রহণ করেছি এবং কম দামে পেয়েছি।

ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আমরা সোর্সিংয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ইউরোপ বা চায়নাসহ সব দেশে প্রতিনিয়ত আমাদের রাষ্ট্রদূতরা যোগাযোগ করে চলেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, আশ্রায়ণ-২-এর প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি।