জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যু, আইইডিসিআরের হটলাইন নিয়ে পরিবারের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে শওকত আলীর মরদেহ। ছবি : এনটিভি

১০ থেকে ১২ দিন আগে জ্বর ও কাশি শুরুর পর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন নড়াইলের সুপারি ব্যবসায়ী শওকত আলী (৩৫)। পরিবারের দাবি, করোনার সব ধরনের উপসর্গ থাকায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইনে ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। পরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের ওয়ার্ডে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শওকতের। শওকত আলী নড়াইল পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল এলাকার ওমর আলীর ছেলে।

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক তহিদুল হাসান তুহিন বলেন, ‘শওকতকে যখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর বমি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। পরে তাঁকে ওয়ার্ডে নিতে নিতেই তিনি মারা যান। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা বলা কঠিন।’

শওকত আলীর মামা বাবু মোল্যা বলেন, ‘জ্বর আসার পর আমরা শওকতকে ডাক্তার দেখিয়েছি। এরপর জ্বরের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু তাও জ্বর ছিল। এরপর গায়ে ব্যথা শুরু হলো। বমি ও পাতলা পায়খানা হলো। এরপর বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার পর শ্বাসকষ্ট শুরু হলো। ডাক্তার দেখালাম, ওষুধ খাওয়ালাম। ঢাকার সব জায়গায় ফোন দিলাম, তাও কোনো কাজ হয়নি। ওই অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর মারা গেল। প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ হয়, শওকতের করোনা হয়েছে। আমরা আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করলেও কোনো লাভ হয়নি।’