ঝালকাঠিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ বাস চলাচল

Looks like you've blocked notifications!
মহাসড়কে মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে ঝালকাঠির বাস টার্মিনাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ছাড়েনি কোনো বাস। ছবি : এনটিভি

মহাসড়কে মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে ঝালকাঠি থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশালসহ আট রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন।

এদিকে হঠাৎ বাস ধর্মঘটের কারণে ঝালকাঠি-বরিশাল, ঝালকাঠি-ভাণ্ডারিয়া, বরিশাল-খুলনা, বরিশাল-পিরোজপুর, বরিশাল-মঠবাড়িয়া, বরিশাল-পাথরঘাটা এই ছয় রুটের যাত্রীরা পড়েছে ভোগান্তিতে। দুর্ভোগের শিকার অনেকেই সময় মতো গন্তব্যে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। কেউ কেউ ভাড়ার মোটরসাইকেলে যাচ্ছেন।

আজ দ্বিতীয় দিনে ঝালকাঠি মালিক সমিতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বরিশাল বাসমালিক সমিতি। বরিশাল থেকেও পিরোজপুরের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।

জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বে-আইনি হলেও ঝালকাঠির আঞ্চলিক মহাসড়কে পুরোদমে চলছে অবৈধ মাহিন্দ্রা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। এর প্রতিবাদ করলে মাহিন্দ্রা গাড়ির মালিক ও চালকরা বিভিন্ন সময় বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও বাসের যন্ত্রাংশ চুরি করে নেয়।

বাসমালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে বরিশাল রূপাতলী বাস টার্মিনালে থাকা ঝালকাঠি মালিক সমিতির কয়েকটি বাসের যন্ত্রাংশ চুরি করে নেয় মাহিন্দ্রার মালিক ও চালকরা। প্রতিবাদ করলে শ্রমিকদের মারধর ও জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার বিচার ও মহাসড়কে অবৈধ মাহিন্দ্রা চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝালকাঠির ওপর থেকে বিভিন্ন রুটের লোকাল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।