ঝালকাঠি থানায় লঞ্চ মালিকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় আজ মঙ্গলবার সকালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বজনহারা মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ লঞ্চটির আট কর্মচারীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ২০ জন কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।
স্বজনহারা মনির হোসেন ঢাকার ডেমরা থানার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগ্নি সুমাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের মধ্যে ছিল। তারা সবাই নিখোঁজ রয়েছে।
আরও ২টি লাশ উদ্ধার
আজ সকালে এক যুবক এবং দুপুরে বিষখালী নদী থেকে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যুবকের বয়স ৩৫ এবং কিশোরের বয়স ১২-১৩ বছর হতে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা। মরদেহের শরীরে আগুনে পোড়ার দাগ রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে সুগন্ধা নদীর দক্ষিণ তীরের গ্রাম কিস্তাকাঠি এলাকায় নদীতে মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দেয়।
এ ছাড়া এক যুবক পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
দুপুর দেড়টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার সাচিলাপুর এলাকায় বিষখালী নদীতে এক কিশোরের মৃতদেহ ভেসে ওঠার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে নিয়ে আসেন। পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল করার পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ পঞ্চম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়াদের খুঁজতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকর্মীরা সকাল থেকে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সন্ধান চালাচ্ছেন।