ঝড়-বজ্রপাতে সাতজন নিহত, ৪০ গ্রাম লণ্ডভণ্ড
জয়পুরহাটে আকস্মিক ঝড়ে সদর, কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়েছে। দেয়ালচাপা পড়ে এক মা ও তাঁর দুই শিশুসন্তানসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মুরগির শেড ভেঙে প্রায় ৪০ হাজার মুরগি মারা গেছে। প্রায় দুই হাজার ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে। শত শত গাছ ও বিদ্যুতের শতাধিক খুঁটি উপড়ে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে জয়পুরহাট জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল বেগের ঝড়ে বাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়লে দেয়ালচাপায় মা ও দুই শিশুসন্তানের মৃত্যু এবং ঘর ভেঙে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামের দিনমজুর জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী শিল্পী বেগম (২৮), তাঁর দুই সন্তান নেওয়াজ (৮) ও নিয়ামুল (৩) এবং কালাই উপজেলার হারুঞ্জা আকন্দপাড়া গ্রামের মৃত সালামত আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৭০)।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর জেলায় প্রবল বেগে আঘাত হানে ঝড়। ঝড়ে ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামের দুই শিশুসন্তানসহ এক নারী এবং কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের এক বৃদ্ধা দেয়ালচাপা পড়ে মারা গেছে। এ ছাড়া সদর, কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রামের দুই হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে অজস্র। ক্ষেতলালের তিলাবদুল এলাকায় মুরগির শেড ভেঙে ৪০ হাজার মুরগি মারা গেছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড়বৃষ্টির সময় এ বজ্রপাত ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণগোবিন্দপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী রুমালী বেগম, মনাকষা ইউনিয়নের রানীনগর হঠাৎপাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে মামুন (৩৫) ও সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের মরাপাগলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সাদেকুল ইসলাম (৬৭)।
স্বজনরা জানান, ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন রুমালী বেগম। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।
মামুন বৃষ্টির সময় মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে মারা যান। আর বাড়ির পাশের বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে সাদেকুলের মৃত্যু হয়।