টাঙ্গাইলে দুই শিশু হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

Looks like you've blocked notifications!
টাঙ্গাইলে দুই শিশু অপহরণ ও হত্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। ছবি : এনটিভি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় দুই শিশু অপহরণের পর হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ড, তিন জনের আমৃত্যু যাবজ্জীবন ও তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশে দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাউদ হাসান এ রায় দেন। সেইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানার করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঢাকার ধামরাইয়ের চরচৌহাট গ্রামের মিল্টন (২২), বাহাদুর মিয়া (২২) ও মির্জাপুর উপজেলার সুজানিলজা গ্রামের রনি মিয়া (২৫)। আমৃত্যু যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন ঢাকার ধামরাইয়ের চৌহাট গ্রামের শাহিনুর এলাইজ শাহা (৩০), শশধরপট্টি গ্রামের জহিরুল ইসলাম (২০) ও মির্জাপুর উপজেলার আমরাইল তেলীপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক (৩৫)। এছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজন হলেন ধামরাই উপজেলার চর চৌহাট গ্রামের আরিফ (২৮), ও মির্জাপুর উপজেলার আমরাইল তেলীপাড়ার জাকির হোসেন (২৮) ও ধামরাই উপজেলার চর চৌহাট গ্রামের শামীম মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরিফ পলাতক রয়েছেন।

নিহত শিশু শাকিল (১০) ঢাকার ধামরাইয়ের চর চৌহাট গ্রামের প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও ইমরান (১১) একই গ্রামের প্রবাসী আবু বক্করের ছেলে।

অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) খোরশেদ আলম জানান, ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার হাড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু শাকিল ও ইমরান। সেখান থেকে তারা নিখোঁজ হয়। পরের দিন ২৮ জানুয়ারি মোবাইল ফোনে দুই শিশুর জন্য দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপর ২৯ জানুয়ারি রাতে মির্জাপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের একটি লেবু বাগান থেকে নিখোঁজ ওই দুই শিশুর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩০ জানুয়ারি শনিবার শিশু শাকিলের মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে পুলিশ মোবাইল ফোনকলের সূত্র ধরে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার ও পরে তদন্ত শেষে তাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ৯ জনের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এদের মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় শহিদুল ইসলাম ও মনোয়ারা নামের দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালত অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি খোরশেদ আলম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান।

এদিকে, রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা।