টানা ছুটিতে বান্দরবানে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়

Looks like you've blocked notifications!
প্রকৃতির নির্মল ছোয়া পেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান ভিড় জমিয়েছে ভ্রমণপিপাসুরা। ছবি : এনটিভি

প্রকৃতির নির্মল ছোয়া পেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান ভিড় জমিয়েছে ভ্রমণপিপাসুরা। আজ শুক্রবার থেকে টানা কয়েকদিনের সরকারি ছুটিতে বান্দরবান জেলা শহরসহ সাত উপজেলায়ও আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্যও জমে উঠেছে। এখানের অধিকাংশ আবাসিক হোটেলেই রুম খালি নেই বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

পাহাড়ের অপরূপ প্রকৃতি এবং শৈল্পিক ছোঁয়ায় সাজানো জেলার দর্শনীয় স্থান নীলাচল, মেঘলা, বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক, নীলগিরি, নীলদিগন্ত, তমাতুঙ্গী, ডিমপাহাড়, প্রান্তিকলেক, রহস্যময় বগা লেক, জাদিপাই ঝরনা, দামতুয়া, শৈলপ্রপাত ঝরনা, রিজুক ঝরনা, চিংড়ি ঝরনা, বাকলাই ঝরনা, দেবতাকুম, অমিয়কুম, সাতভাইকুম, রেমাক্রী, নাফাকুম, বৌদ্ধ টেম্পল, রামজাদী, স্বর্ণমন্দিরের মতো স্পটগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমিরা।

জেলার আকর্ষণীয় দর্শণীয় স্থানগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রকৃতিপ্রেমিদের পদচারণায়। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এ জেলায় পাহাড়ের রয়েছে চোখ জুড়ানো সব সৌন্দর্য।

ছুটিতে বেড়াতে আসা পর্যটক ঈশিতা ও শারমিন বলেন, ‘বর্ষায় পাহাড়ের সৌন্দর্য সত্যিই অসাধারণ। চারদিকে সবুজের সমারোহ। দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে। জীবনে প্রথমবার বান্দরবান ভ্রমণে এসে সত্যিই মুগ্ধ। এখানে বেড়ানোর জন্য নীলাচল, মেঘলা, চিম্বুক, দেবতাকুমের মতো চমৎকার সব জায়গা রয়েছে।’

সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘সুযোগ পেলেই বেড়াতে পছন্দ করি। তাই উৎসবের ছুটিতে এবার বান্দরবান ভ্রমণে এসেছি। বিদেশের অনেক জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু, পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের সঙ্গে মিলানো কঠিন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়ায়। যোগাযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও মোটামুটি ভালো। কিছু সমস্যা আছে। তাই সরকারের উচিত পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আরও বেশি নজর দেওয়া।’

বান্দরবান হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ তিনটি ধর্মের উৎসবকে ঘিরে বান্দরবানে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠেছে। তিনদিনের মধ্যে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেছে জেলায়। তবে, ভ্রমণপ্রেমিরা জেলা শহরে খুব একটা থাকে না, তারা উপজেলা পর্যায়ে দূরদূরান্তের পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পাহাড়িদের মাচাং ঘরগুলোকে বেছে নিচ্ছে।’

এদিকে, ভ্রমণপিপাসুদের বাড়তি চাপ সামলাতে এবং পর্যটক হয়রানি বন্ধে  প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিবহণ ও রেস্টুরেন্ট মালিক-শ্রমিকদের সতর্কতার সহিত পর্যটকদের আরামদায়ক সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কয়েকদিনের বন্ধে পর্যটকদের বাড়তি চাপ লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে, পর্যটকদের নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সব পর্যটন স্পট এবং দর্শনীয় স্থানের আশপাশে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের পর্যটক হয়রানির খবর পাওয়া যায়নি। নিরাপদে স্বাচ্ছন্দে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে পাহাড়ের আনাচে-কানাচে।’