টানা বর্ষণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, নাইক্ষ্যংছড়িতে ৯ গ্রাম প্লাবিত
টানা বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুটি ইউনিয়নের মধ্যে।
প্রশাসন ও স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার থেকে কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাকখালী নদীসহ বিভিন্ন পাহাড়ি খালের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সদরের ধুংরী হেডম্যানপাড়া, বড়ুয়াপাড়া, হিন্দুপাড়া, বিজিবির কোয়ার্টার এলাকা এবং বাইশারী ইউনিয়নের দক্ষিণ নারিচবুনিয়া, মধ্যম বাইশারী, দক্ষিণ বাইশারী কোণারপাড়া, পশ্চিম বাইশারী, তুফানআলীপাড়া ও করলিয়া মুরাসহ নয়টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি মৎস্য খামারসহ পুকুর ডুবে গেছে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম জানান, বৃষ্টিতে নদীর পানি ও পাহাড়ি ঢলে ইউনিয়নের দক্ষিণ নারিচবুনিয়া, মধ্যম বাইশারী, দক্ষিণ বাইশারী কোণারপাড়া, পশ্চিম বাইশারী, তুফানআলীপাড়া ও করলিয়া মুরা গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভারি বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে উপজেলা প্রশাসন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, পানিবন্দি সদরের তিনটি গ্রামে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া টানা বর্ষণে কয়েকটি পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অভ্যন্তরীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুটি ইউনিয়নের মানুষ।
সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি জানান, ভারি বর্ষণে ইতোমধ্যে বাইশারী ও সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কিছু মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। দুই ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকার মানুষের মধ্যে খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।