টিকটকে প্রেমের শুরু, বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়িতে

Looks like you've blocked notifications!
নড়াইলের কালিয়ায় বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল হাতে প্রেমিক বিজিবি সদস্য শামীম মোল্লার বাড়িতে অনশনে প্রেমিকা। ছবি : এনটিভি

নড়াইলের কালিয়ায় বিজিবি সদস্য শামীম মোল্লার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে তাঁর প্রেমিকা অনশনে বসেছেন। প্রেমিকা আসার খবর পেয়ে প্রেমিকার মা-বাবা বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

প্রেমিকার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায়। গতকাল রোববার বিকেলে প্রেমিকা কালিয়ার কলেজপাড়া মির্জাপুরে প্রেমিক শামিমের ভাড়া বাড়িতে অবস্থান নেন।

প্রেমিক শামিম মোল্লা কালিয়া উপজেলার কান্দুরি গ্রামের খায়রুল মোল্লার ছেলে। খায়রুল মোল্লা উপজেলার মধুমতি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে কর্মরত। 

অনশনে বসা ওই প্রেমিকা জানান, টিকটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। তারপর ফেসবুক ও ফোনে কথাবার্তা। এরপর শুরু হয় তাদের প্রেম। প্রেমিক শামিম মোল্লা ছুটিতে এসে দেখা করেন খুলনার সোনাডাঙ্গায় তার বন্ধু সোহেলের বাড়িতে। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। এরপর শামিম তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।

প্রেমিকা আরও জানান, একপর্যায়ে শামিম মোল্লা তাকে খুলনার সোনাডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। দীর্ঘ এক বছর ধরে তাদের সম্পর্ক চলে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি শামিমকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন শামিম। পরে বেশ কিছুদিন ধরে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন।

ওই প্রেমিকা বলেন, আমি বিয়ের দাবিতে, স্ত্রীর স্বীকৃতির জন্য শামিমের বাড়িতে অনশন করছি। যদি আমাকে শামিম মেনে না নেয়, বিয়ে না করে—তাহলে আমি বিষ খেয়ে মরে যাব।

শামিম মোল্লা বর্তমানে কুষ্টিয়ার মিরপুরে ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নে কর্মরত রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামিম মোল্লা প্রায় তিন বছর আগে বিজিবিতে চাকরি পান। চাকরি হওয়ার আগে আট লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে কালিয়া উপজেলার বিলবাউচ গ্রামের তৈয়ব কাজীর মেয়ে স্বর্ণাকে বিয়ে করে তা গোপন রাখেন। পরে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে স্বর্ণাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।

এ বিষয়ে জানতে বিজিবি সদস্য শামীম মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই মেয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমার থেকে তার বয়স বেশি হওয়ায় আমি তাকে বিয়ে করতে পারব না।