টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে সুশাসনের ঘাটতি হয়েছে : টিআইবি

Looks like you've blocked notifications!
টিসিবির পণ্য। ফাইল ছবি

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর ফ্যামিলি কার্ড প্রাপ্তি এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য ক্রয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সক্ষমতা যাচাইপূর্বক যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি না নিয়ে দ্রুত এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ, উপকারভোগীর তালিকাভুক্তি ও পণ্য ক্রয়ে স্বচ্ছতার ঘাটতি ও অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এই ইতিবাচক উদ্যোগের পরিপূর্ণ সুফল পায়নি।

প্রকৃত উপকারভোগীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ফ্যামিলি কার্ড তালিকা থেকে বাদ পড়ার বিপরীতে উপকারভোগীদের চাহিদা, পণ্য ক্রয়ের সামর্থ্য এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রবেশগম্যতা ও অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলো যথাযথভাবে বিবেচনা না করায় এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে।

‘টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আজ এই মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে দশ দফা সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান। টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরামের তত্ত্বাবধানে প্রণীত গবেষণাটি উপস্থাপন করেন একই বিভাগের রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম এবং রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মুহা. নূরুজ্জামান ফরহাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম।

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে মিশ্র পদ্ধতিতে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। এ বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত গবেষণার তথ্য সংগ্রহ এবং ১৮-২৬ এপ্রিল একটি জরিপ করা হয়। জরিপে ৩৫টি জেলা থেকে ৩০-৩৫ জন করে মোট ১,০৪৭ জন উপকারভোগী অংশগ্রহণ করেন।  

২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে টিসিবির ‘ফ্যামিলি কার্ড’ প্রদানের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। উপকারভোগী তালিকায় করোনাকালে ‘২,৫০০ টাকা নগদ সহায়তা’ কর্মসূচির আওতাভুক্ত ৩৮ লাখ ৫০ হাজার উপকারভোগীদের সবাইকে রেখে নতুন করে ৬১ লাখ ৫০ হাজার জনকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গবেষণার জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ অনুযায়ী ইতোপূর্বে ২,৫০০ টাকা নগদ সহায়তাপ্রাপ্তদের ৩৯.৫ শতাংশ ফ্যামিলি কার্ড পাননি। এর মধ্যে ৮০.৪ শতাংশ সম্ভাব্য উপকারভোগীকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয়। জরিপে মোট অংশগ্রহণকারী নারীদের ৩৪.৪% এবং পুরুষদের মোট ৩১.৪% লক্ষিত উপকারভোগী অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ফ্যামিলি কার্ড পাননি বলে অভিযোগ করেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে যারা ফ্যামিলি কার্ড পাননি বলে উল্লেখ করেছেন তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ-তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও তথ্য প্রচারে ঘাটতি এবং সুপারিশ বা তদবির জোগার করতে না পারায় সরকারের এই কর্মসূচির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া তালিকা থেকে বাদ পড়ার অন্যান্য কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বচ্ছল ব্যক্তিদের তালিকাভুক্তি, একই পরিবারে একাধিক কার্ড প্রদান, ছবি পরিবর্তন করে তালিকাভুক্তদের কার্ড অন্যদের দিয়ে দেওয়া, ঘুষ না দেওয়ার কারণে বাদ দেওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরেন উত্তরদাতারা।

‘২,৫০০ টাকা নগদ সহায়তা’ প্রাপ্ত উপকারভোগীর সকল পরিবার এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও, সাড়ে আট লাখ পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়নি। কোন বিবেচনায় ও প্রক্রিয়ায় এই সাড়ে আট লাখ পরিবারকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। অন্যদিকে নতুন করে প্রণীত তালিকায় বিভিন্ন স্বচ্ছল ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারি পরিপত্রে ফ্যামিলি কার্ডের তালিকায় দরিদ্র, অসহায়, স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও দুর্গম এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষত নারী ও আদিবাসী যাদের সাথে জনপ্রতিনিধিদের যোগাযোগ কম এমন ব্যক্তিদের অনেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। জরিপে উত্তরদাতাদের ৫১.৩ শতাংশ মনে করেন তালিকা প্রণয়নের সময় যোগ্য-হতদরিদ্র ব্যক্তিদেরকে বাদ দিয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্বচ্ছল ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জরিপে অন্তর্ভুক্ত ফ্যামিলি কার্ডপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের ৪ শতাংশ তালিকাভুক্তি ও কার্ড বিতরণের বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সাশ্রয়ীমূল্যে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ওজনে কম দেওয়া, ফ্যামিলি কার্ড থাকা সত্ত্বেও পণ্য কিনতে না পারা, দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য না পাওয়া, নির্ধারিত স্থানের পরিবর্তে অন্য স্থানে পণ্য বিক্রয়, অতিরিক্ত অর্থ আদায় ইত্যাদি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন উত্তরদাতারা। টিসিবি পণ্যের প্যাকেজের কিছু পণ্যকে অপ্রয়োজনীয় এবং বাজার তুলনায় সাশ্রয়ী নয় বলে জানান জরিপে অংশগ্রহণকারী। পাশাপাশি কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭.৫ শতাংশ সামর্থ্য না থাকায় একবারও পণ্য ক্রয় করতে পারেনি এবং ৩.৭ শতাংশ একবার পণ্য ক্রয় করতে সক্ষম হলেও দ্বিতীয়বার ক্রয় করার সামর্থ্য ছিল না। অন্যদিকে, ডিলার (২,৮৮১ জন) এবং মজুদাগারের (১৬টি) সংখ্যা বিবেচনায় উপকারভোগী প্রায় দ্বিগুণের বেশি থাকায় টিসিবিকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতা নিতে হয়। ফলে পুরো প্রক্রিয়ায় টিসিবির তদারকির ঘাটতি দেখা গেছে। টিসিবির অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, জনবল সংকট ও পরিকল্পনায় ঘাটতি থাকায় নির্ধারিত গোডাউন থেকে পণ্য পেতে গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলের ডিলারদের অধিক সময় ব্যয় করতে হয়। 

গবেষণায় আরও দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চলগুলোতে, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম, দ্বীপ ও চরাঞ্চল এবং দুর্যোগপূর্ণ হাওর এলাকায় পণ্য সরবরাহে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয় টিসিবি। বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার প্রায় ৩,৩০০টি পরিবারের কাছে টিসিবির সাশ্রয়ীমূল্যের এসব পণ্য পৌঁছাতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। আবার, ডিলারদের অবস্থান বা বিক্রয় পয়েন্ট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন হওয়ায় প্রত্যন্ত এলাকা (বিশেষ করে, চরাঞ্চল, হাওর ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকার জনগণ) থেকে এসে পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী ছিলেন না অনেক কার্ডধারী। জরিপে অংশগ্রহণকারী কার্ডপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে যাতায়াত বাবদ গড়ে ৩৩ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। অন্যদিকে নির্ধারিত কোনো কোনো বিক্রয় কেন্দ্রে একজন মাত্র বিক্রয়কর্মী থাকায় জরিপে অংশগ্রহণকারী উপকারভোগীদের গড়ে ১.২ ঘণ্টা ও সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপকারভোগী দৈনিক আয় থেকে বঞ্চিত হয় এবং দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে বয়স্ক উপকারভোগীদের কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯.২৫ শতাংশ উপকারভোগী নারী ও প্রতিবন্ধীতাসহ ব্যক্তিদের জন্য পৃথক লাইনের ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ করেছে। 

জরিপে ১৩.৭ শতাংশ উপকারভোগী টিসিবির ট্রাক বা ডিলারের কাছ থেকে পণ্য কেনার সময় অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। কিছুক্ষেত্রে পণ্য ক্রয়ের সময় নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্যাকেজ মূল্যের অতিরিক্ত ৪০-৫০ টাকা বেশি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে ডিলার ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী কার্ড না পাওয়া উত্তরদাতাদের মধ্যে ৪৪.২ শতাংশ প্রচারণায় ঘাটতি থাকায় ফ্যামিলি কার্ড কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত ছিল না। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তথ্য প্রকাশ ও প্রচারে ঘাটতি থাকার কারণে লক্ষিত উপকারভোগীদের উল্লেখযোগ্য অংশ এই কার্যক্রমের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং দুর্নীতির শিকার হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া কার্যকর অভিযোগ নিরসন ব্যবস্থা না থাকায় দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। জরিপে তালিকাভুক্তি, কার্ড বিতরণ ও পণ্য ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হওয়া উপকারভোগীদের ৮৯.৯ শতাংশ অভিযোগ করেননি বা করতে পারেনি। এর মধ্যে ৩৪.৩ শতাংশই হয়রানির ভয়ে অভিযোগ করেনি।

করোনা মহামারির কারণে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে সরকার টিসিবির মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্নআয়ের  জনগণের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করার একটি সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলেও, বাস্তবে লক্ষিত জনগণের অনেকেই এর সুফল পাননি উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রায় ১ কোটি পরিবারকে এ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের কারণে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপকার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে বাস্তবে এ প্রশংসনীয় উদ্যোগ প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। স্বচ্ছতার অভাব, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে প্রকৃত অনেক উপকারভোগী তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। তালিকা প্রণয়ন ও বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। স্বচ্ছল ব্যক্তিদের একাংশ এমনকি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সচ্ছল আত্মীয় স্বজনদেরকেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ এই উদ্যোগে প্রকৃত অর্থে যাদের সুফল লাভ করার কথা, সেই অস্বচ্ছল দরিদ্র নাগরিকরাই বঞ্চিত হয়েছেন। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে নারী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সুবিধা বঞ্চিত হয়েছেন। যদিও তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করাই কার্যক্রমটির অন্যতম লক্ষ্য ছিল। এছাড়া টিসিবির কার্যক্রমে অভিযোগ নিরসন বা পরিবীক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। আশা করি, পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে দলীয় রাজনৈতিক এবং সকল প্রকার স্থানীয় অনৈতিক  প্রভাব পরিহার করে এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবেন।

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে করা টিআইবির দশ দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- জনপ্রতিনিধি কর্তৃক উপকারভোগীদের প্রাথমিক তালিকা তৈরির পর ওয়ার্ড সভার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের মতামতের ভিত্তিতে তালিকা চূড়ান্ত করা; নারী, প্রতিবন্ধিতাসহ ব্যক্তি, দলিত, আদিবাসী, প্রভৃতি প্রান্তিক ও দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা; শুধু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা এবং বিতরণের সময়, তারিখ ও স্থান ইত্যাদি তথ্য সকল পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা; বিনামূল্যে তালিকাভুক্তি ও কার্ড বিতরণে অর্থ লেনদেন না করার বিষয়ে উপকারভোগীদের সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম (যেমন: এসএমএস প্রদান, ফ্যামিলি কার্ডে এ ধরনের তথ্য মুদ্রণ করে দেওয়া ইত্যাদি) পরিচালনা করা; উপকারভোগীদের চাহিদা ও সামর্থ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে প্যাকেজে পণ্যের ধরন, পরিমাণ ও মূল্য নির্ধারণ করা ইত্যাদি।