টেকনাফে প্রদীপের জায়গায় নতুন ওসি ফয়সল
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন মো. আবুল ফয়সল। এর আগে তিনি কুমিল্লার চান্দিনা থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ওসি ফয়সল আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। প্রদীপকে গতকাল সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নতুন ওসি আবুল ফয়সল আজ যোগদান করেছেন।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিআইজি কার্যালয় থেকে টেফনাফের নতুন ওসি মো. আবুল ফয়সলের বদলির আদেশটি কার্যকর করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহারের পর থেকে টেকনাফ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এ বি এম দোহা।
আবুল ফয়সল ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর চান্দিনা থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফের ছেলে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে স্নাতক পাসের পর ১৯৯৩ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন আবুল ফয়সল। ২০০৯ সালে তিনি পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর ফেনীর দাগনভূঁইয়া, কুমিল্লার দাউদকান্দি, তিতাস, হোমনা ও চৌদ্দগ্রাম এবং সর্বশেষ চান্দিনা থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত বুধবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
এর আগে গত ২ আগস্ট বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ সবাইকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ওসি প্রদীপকে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এরপর গত বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে বাদীপক্ষ তাদের আটক ও পরে রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন। আর বাকি চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।