টেকনাফ-উখিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত ও মাদক কারবারি’ নিহত

Looks like you've blocked notifications!

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় কথিত দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। র‍্যাব ও বিজিবির দাবি, নিহত দুজনের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা ডাকাত ও অপরজন ইয়াবা কারবারি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

টেকনাফের ঘটনা প্রসঙ্গে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক বার্তায় র‍্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন দমদমিয়া এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপ হাসেম বাহিনীর প্রধান হাসিমুল্লাহ (৩৩) নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির প্রস্তুতি ও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আজ শুক্রবার ভোর রাতে র‍্যাব-১৫-এর একদল সদস্য অভিযানে গেলে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে, উখিয়ার ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে লুৎফুর রহমান লুতু (৪০) নামের এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এ সময় ৫০ হাজার ইয়াবাসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়ার চিংড়ি ঘের এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ ঘটে।

নিহত লুৎফুর রহমান লুতু নলবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

কক্সবাজার-৩৪-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ দাবি করেন, উখিয়া সীমান্তে মাদক পাচারকালে বিজিবির অবস্থান টের পেয়ে পাচারকারীরা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পালটা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামার পর ঘটনাস্থলে একজনের মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

বিজিবির অধিনায়কের দাবি, নিহত লুৎফুর রহমান লুতু একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত ও মাদক কারবারি। তাঁর বিরুদ্ধে ১২টির বেশি মামলা রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপার সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।