ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
বরিশালে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ আবুল কাশেমের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ শুক্রবার (১২ মে) বিকেল ৫টায় কীর্তনখোলা নদীতে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের পূর্বপাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় তারঁ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন।
সহকারী পরিচালক বলেন, ‘আমরা স্পিডবোটযোগে নদীতে টহল দিচ্ছিলাম। তখন নিখোঁজ আবুল কাশেমের মরদেহ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়। তারপর নগরী সংলগ্ন চানমারি ঘাটে নৌপুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছি। বরিশাল সদর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, মরদেহ গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে মেঘনা পেট্রলিয়াম লিমিডেট বরিশাল ডিপোর জন্য তেল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কীর্তনখোলা নদীতে আসে ট্যাঙ্কারটি। এতে ১৩ লাখ লিটার অকটেন, পেট্রল ও ডিজেল ভর্তি ছিল। সেই তেল উত্তোলনের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ইঞ্জিন চালু করলে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন এর কর্মচারীরা। এই ঘটনায় স্বাধীন (২২) ও বাবুল কান্তি দাস (৬৪) নিহত হয়েছেন।
ঘটনার সময় তিন কর্মচারী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। তাঁরা হলেন কুতুব উদ্দিন, মো. রুবেল ও কামাল হোসেন। তাঁদের আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আবুল কাশেম।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রাথমিক ধারণা, জাহাজের ইঞ্জিন রুমের এয়ারকম্প্রেসার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। নিহতদের দাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।