সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্য দিকে, পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত সদস্যদের ছোড়া গুলিতে পাঁচ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। উপজেলার ঢাকা দক্ষিণের দত্তরাইল মিশ্রপাড়া গ্রামে আজ রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

এরই মধ্যে আহত পাঁচ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন—ঢাকা দক্ষিণের পশ্চিম দত্তরাইল গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২), মানোয়ার হোসেন (২৪), একই এলাকার আতিব আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪০), বকু মিয়ার ছেলে আরমান আহমদ (৩০) ও মনন আহমদের ছেলে দুলাল আহমদ (২৭)।

গ্রামবাসী বলছেন, আজ রোববার ভোরে দত্তরাইল মিশ্রপাড়া গ্রামের জ্ঞান সেনের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। তাঁরা বাড়ির বাসিন্দাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক হাজার ডলার, দুই লাখ টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

পরে এলাকায় ডাকাতদলের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয়রা ধাওয়া করে। এ সময় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে পাঁচ গ্রামবাসী আহত হন। এক পর্যায়ে ডাকাতদলের বাকি সদস্যেরা পালিয়ে গেলেও গ্রামবাসী এক জনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ডাকাতি শেষে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার মারধরে এক ডাকাত মারা গেছে। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও লুট করা কিছু মালামাল উদ্ধার হয়েছে। ডাকাতদলের বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।