ডাকাতির পরে হত্যা, আট আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে সাবেকুন্নাহারকে হত্যার মামলায় আট আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ দুলাল মিয়া বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং সেই জরিমানা পরিশোধ না করলে তাদের আরো এক বছরের অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাজেদুল ইসলাম সজল, মো. সোহাগ শরীফ, সাকিব হাসান সিজার, মেরাজুল শেখ ওরফে মিরাজ ওরফে মিজান, আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয়, শাহ ইমাম হোসেন রনি, মাসুদ শাহ ও সাগর হাওলাদার।

এদিকে রায় ঘোষণার সময় আসামি সাজেদুল ইসলাম সজল উপস্থিত ছিলেন। এরপরে তাঁকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ ছাড়া অপর সাত আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ মে দুপুর ২টায় দুই যুবক বাদী তহুরা খাতুনের বাসার নীচতলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে আসে। সেই ফ্ল্যাট পছন্দ হওয়ায় দেড় হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে যায় দুই যুবক।

পরের দিন দুপুরে দুই যুবক কিছু ব্যাগ ও বইপত্র নিয়ে এসে বলে, আমাদের থাকার মতো কোনো ব্যবস্থা নাই। একরাত থেকে পরে চলে যাবো। এরপর ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট খালি থাকায় তাদের থাকতে দেয় ভিকটিম। পরদিন তারা তহুরা খাতুনের বাসায় গিয়ে কলিং বেল দিলে তাঁর মেয়ে সাবেকুন নাহার দরজা খুলে দেন। তখন সজল ও মাসুদ ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন।

এরপর আরো ছয়জন সেখানে ঢুকে পড়েন। তারা তহুরা বেগমের হাত ও পা দড়ি দিয়ে বেঁধে এবং মাথাসহ মুখ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখেন। সাবেকুন নাহার চিৎকার দিলে আসামিদের একজন চাপাতির উল্টো পাশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। তারা তাকে পাশের রুমে নিয়ে দড়ি, টেপ, টাই ও ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলে।

এ ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা করা হয়।