ডা. মুরাদকে গ্রেপ্তার করতে হবে : রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল রিজভী। ফাইল ছবি : এনটিভি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে গ্রেপ্তার করে প্রচলিত আইনে বিচার করতে হবে। এ ধরনের ব্যক্তির রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাকে রাজনীতি করার অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। তাকে সব পর্যায় থেকেই সরিয়ে দিতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘হাট-বাজার, গণমাধ্যম-সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজপথের প্রতিবাদী মিছিল, সর্বত্রই যখন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে একাট্টা, তখন মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতে নতুন নতুন নাটক তৈরি করা হচ্ছে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকারের মন্ত্রিত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিএনপি তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে খিস্তিখেউড় করাই ছিল তার একমাত্র কাজ। নারীবিদ্বেষী, বর্ণবিদ্বেষী মুরাদের মানসিকভাবে বিকৃত বক্তব্য সারা জাতিকে হতবাক ও স্তম্ভিত করেছে। উপর মহল থেকে আস্কারা পেয়ে অসুস্থ মানসিকতার একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা থাকলে ক্ষমতার অপব্যবহারে সে যে বিকারগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ তার প্রমাণ। এরকম একজন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার আস্ফালনে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়।’

বিএনপিনেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে সরকার।’

রিজভী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। গত ৬ মে ২০২১ অর্থাৎ সাত মাস আগে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করা হয়েছিল। এতেই প্রমাণিত হয়- সরকার দেশনেত্রীর সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যেতে দিতে রাজি নয়, তিলে তিলে তাঁকে নিঃশেষ করাই এই মুহূর্তে আওয়ামী সরকারের কর্মসূচি। জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খালেদা জিয়া। চিকিৎসকেরা বলছেন, বাংলাদেশে তাঁর চিকিৎসা সম্ভব নয়। দ্রুত বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা না দিলে তাকে বাঁচানো যাবে না।’

বিএনপিনেতা আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ফেনীতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাংগঠনিক কাজে ফেনী সফররত মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাসকে ফেনীর কোনো হোটেলে থাকতে দেয়নি সরকারের আজ্ঞাবাহী পুলিশ। তিনি তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ফেনীতে রাত্রিযাপনের জন্য হোটেল বরাদ্দের চেষ্টাকালে পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় আপনারা কোনো হোটেলে রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। পুলিশের এই ধরণের ন্যাক্কারজনক আচরণের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।