ডিজিটাল প্রযুক্তির বদৌলতে প্রচলিত চাষাবাদ বদলে যাবে : মোস্তাফা জব্বার

Looks like you've blocked notifications!
আজ নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি : সংগৃহীত

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির বদৌলতে হাওরসহ দেশের সর্বত্র প্রচলিত চাষাবাদ বদলে যাবে। নতুন প্রযুক্তির উপযোগী শিক্ষা না হলে সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকা যাবে না। ডিজিটাল প্রযুক্তি-যুগের বড় সংকটের নাম হচ্ছে, সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত লোকের চাকরির সংকট। এই সংকট দূর করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

মন্ত্রী আজ নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক কাজী আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, হুয়াওয়ে টেকনোলজি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজিয়ান, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সুমন চক্রবর্তী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম, নেত্রকোনা জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম আবু ইসহাক, স্থানীয় আওয়ামী লীগনেতা নাজিম উদ্দিন সরকার বক্তৃতা করেন।

ঢাকা থেকে হাওরের ভার্চুয়াল কর্মসূচি করা অভাবনীয় একটি বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভৈরব বাজার থেকে উত্তরে গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত হাওর এলাকার জীবনযাপন আর দেশের অন্য এলাকার জীবনযাপন এক নয়। বর্ষায় সাগর এবং হেমন্তে প্রান্তর হয়ে যায়। এখানকার যোগাযোগ- ‘বর্ষায় নাও আর হেমন্তে পাও’।

হাওর অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে গত ১২ বছরে এখানকার জীবনধারা পাল্টে গেছে। হাওর থেকে এখন আইসিটি কোম্পানি পরিচালিত হচ্ছে। ধর্মপাশার পাঁচ মাইল দূরের একটি গ্রাম থেকে পৃথিবীর ২১টি দেশের আউটসোর্সিংয়ের কাজ হচ্ছে। সেখানে ৪৮ জন প্রোগ্রামার এখন কাজ করছে। এটাই হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন।’