ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবদান রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

Looks like you've blocked notifications!

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

 

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন অ্যান্ড প্লানিং ল্যাব’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ই-গভর্নেন্স কোর্স চালুসহ ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ইউজিসিসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’

রাষ্ট্রপতি হামিদ জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রায় দুই হাজার ৭৪টি ডিজিটাল সেবা শনাক্ত এবং এগুলোর বাস্তবায়নে প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এরমধ্যে ২৩টি মন্ত্রণালয়ের ৭২৩টি সেবাকে ডিজিটাল সার্ভিসের ডিজাইন এবং পরিকল্পনা করে ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ডিজিটালাইজেশনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “১৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিফর্মড ইউনিভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার এবং ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরির ‘ডিজাইন এবং পরিকল্পনা ল্যাব’ সম্পন্ন হওয়ায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ডিজিটালাইজড হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গেল। এ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক ও দাপ্তরিক কর্মকর্তাসহ অভিভাবকরা যেকোনো জায়গা থেকে এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। এতে  অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় হবে।”

রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্টিগ্রেটেড ইউনিভার্সিটি ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম চালু হলে শিক্ষার্থীরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গতিশীলতা আসবে। সৃষ্টি হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির পরিবেশ।’

শিক্ষার গুণগত মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নে শিক্ষক ও গবেষকরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের প্রতি দায়িত্ববোধে জাগ্রত হয়ে আপনারা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জ্ঞানের নব নব দিগন্ত উন্মোচন করবেন। একজন শিক্ষার্থীর কাছে তার শিক্ষকই আদর্শ। তাই জ্ঞান আহরণ, লালন, অনুশীলন ও বিতরণে আপনাদের অধিক তৎপর, আন্তরিক ও অর্থবহ ভূমিকা পালন করতে হবে।’

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ তৈরির ওপর জোর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশীয় প্রযুক্তিবিদদের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে। আমি আশা করি, সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ দেশের প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’

কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।