ডিবির ৩২ টিমের অভিযানে ৩৪ ‘ডাকাত’ গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তারসহ অন্যরা। ছবি : এনটিভি

শীতের সময় ঢাকা মহানগর এলাকায় ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যায় দাবি করে গোয়েন্দা পুলিশের ৩২টি দল চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে মোট ৩৪ জন ‘ডাকাত’কে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘অভিযানকালে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত চাপাতি, চাকু, ছোরা, হাইড্রোলিক কাটার, তালা ভাঙার রড, হাতুরি, প্লাস, স্ক্রু ড্রাইভার, হেসকো ব্লেড, গ্রিল ও তালা কাটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।’

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘শীতকাল এলে দোকান, বাসাবাড়ি ও মার্কেটে ডাকাতি ও চুরি বেড়ে যায়। এটা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ডিবির ৩২টি টিম একযোগে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালায়। এই অভিযানে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় গোয়েন্দা পুলিশ।’

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘সবাই সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে কারো বাসায় নতুন দারোয়ান বা মালি নিয়োগ দিলে, তা যেন নিকটবর্তী থানাকে অবগত করা হয়। তাহলে বাসা-বাড়িতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনাগুলো কমে আসবে। অথবা চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো ঘটলে তাদের সহজেই গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ। বিশেষ করে গ্রিল কেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে চোরেরা বাসার কিচেন ও বাথরুমের পেছনের অংশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করে থাকে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। যারা আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান তারা বাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা করতে পারেন। এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এর পরও যদি এমন ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে পুলিশকে অবগত করুন। যেকোনো ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. অপু (২৩), রজব আলী (৪০), রাসেল ওরফে রুবেল (২৮), ইউনুস আলী (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৮), মুরাদ শিকদার (২৩), মো. নয়ন (৩০), মো. পারভেজ (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৮), রাকিব হাসান ওরফে কনক (২৬), মো. ইব্রাহিম (২৩), মো. আমির হোসেন (২২), মাইনুদ্দিন ওরফে কালু (১৯), মো. রনি (২০), রুবেল হাসান (২০), সাব্বির হোসেন (১৯), আরিফুল ইসলাম (২৩), অন্তর মিয়া (১৯), মামুন হোসেন (২০), ওয়াজিব হোসেন (১৯), আসামি শাওন (২২), শাকিল ওরফে লাদেন (২৪), মো. রবিন (২৩),  হাবিবুর রহমান (২৭), নুর আলম বাবু ওরফে পিচ্চি বাবু (২৫), মো. রমজান (২৪), রুবেল হাওলাদার (২৭), মো. শাহিন (২১), মো. নয়ন মিয়া (২৮), সোহেল খান (২৫), বাদল বিশ্বাস (২৬), আহাম্মদ আলী মাতব্বর ওরফে পিচ্চি (৩৫), মো. আলমগীর (২৭) ও রফিকুল ইসলাম (৩০)।