ডিম-দুধের সংকট মোকাবিলায় সরকার কাজ করছে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের সংকট মোকাবিলায় সরকার সব ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, করোনাজনিত সংকটকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই প্রাণিজ পুষ্টির উৎস দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এ-সংক্রান্ত সংকট মোকাবিলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আজ বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে করোনার প্রাদুর্ভাবকালীন পোলট্রি ও দুগ্ধশিল্প এবং মৎস্য খাতের সংকট মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলেন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পোলট্রি, ডিম, একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা, হাঁস, মুরগি ও গবাদিপশুর খাদ্য, দুগ্ধজাতপণ্য, অন্যান্য প্রাণী ও প্রাণিজাত পণ্য, মাছ, মাছের পোনা ও মৎস্য খাদ্যসামগ্রী সরকারঘোষিত ছুটির সময়ে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন সচল রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পোলট্রি ও মৎস্য খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি করা কাঁচামালের পরীক্ষাগার দ্রুত চালু করার ব্যাপারেও যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের পিআরটিসি ল্যাব চালু হবে।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘খামারে উৎপাদিত দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্য মিল্ক ভিটাকে মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংরক্ষণসহ ভোক্তার কাছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজে প্রাণ, আড়ং, আকিজসহ বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে আমি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
‘করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক খামারিদের জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। তা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ ও কিস্তি স্থগিতকরণের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, “এরই মধ্যে সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের খামারিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে ‘মাছ, মাংস ও ডিম খাওয়া ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ’ জানিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে প্রচার চালানোর বিষয়টিও চূড়ান্ত করা হয়েছে।”
এ সময় মাছ ও মাংসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে, করোনা মোকাবিলায় নিয়মিত দুধ, ডিম, মাছ ও মাংস খাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।