‘ড্রিল মেশিন দিয়ে ছিটকিনি কেটে’ মিলল কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল ছবি

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া এলাকাযর একটি বাসা থেকে মিতু আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভীন আজ রোববার এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মিতু নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পুরুষোত্তমপুর গ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে। সে তার স্বামী সজিবের সঙ্গে থাকত। সজিব সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক।

এসআই সোনিয়া পারভীন বলেন, ‘শনিবার রাতে খিলগাঁও মেরাদিয়া জামতলা কবরস্থান রোডের একটি বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কিশোরীর লাশটি ওই বাসায় লোহার আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তার গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। তারপর আমরা লাশটি নিচে নামাই।’

সোনিয়া পারভীন আরও বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়ার কারণে রাতে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় মিতু। অনেকক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও দরজা না খোলায় ড্রিল মেশিন দিয়ে দরজার ছিটকিনি কেটে তার রুমের ভেতর ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্বামী। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরই মধ্যে তার স্বামী সজিবকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। মিতুর পরিবার জানিয়েছে, দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করে মিতু ও সজিব। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে মিতুকে তার মা-বাবা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। ১০ মাস আগে তাকে গ্রাম থেকে আবার ঢাকায় নিয়ে আসেন সজিব। এরপর পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না মিতুর। রাতে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পায় পরিবার।’