ড্রেনে নেমে কাজের মান যাচাই করলেন মেয়র আতিক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলার লাউতলা খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তিন দিন অভিযান চালিয়ে খাল উদ্ধার এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে সেখানে পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেন সংস্কার করা হয়। এ কাজের অগ্রগতি দেখেন ডিএনসিসি’র মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বছিলার লাউতলায় কাজ দেখতে নতুন করে সংস্কারের কাজ করা ড্রেনে নেমে পড়েন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসি’র ফেসবুক পেজে ড্রেনে নেমে মেয়রের নির্মাণ কাজ তদারকির ছবি প্রকাশের পরই তা ভাইরাল হয়।
অনেকেই মেয়রের এমন কাজকে সাধুবাদ জানান। আবার, অনেকে সমালোচনা করেন। শাহেদ সফিক নামের একজন ড্রেনে মেয়রের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন, ‘ছবিটা অনেক কথা বলে। ভালোলাগার একটি ছবি! মেয়র হোক এমন...’
এস ইউ সেলিম নামে একজন লেখেন, ‘আতিক ভাই আসলেই ভালো মানুষ। তিনি সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি।’
সাইয়েদা রিমি কবিতা নামে একজন লিখেন, ‘আসলেই দায়িত্বশীল হতে হলে এমনই হতে হয়, দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
জসিম উদ্দিন নামের একজন লেখেন, ‘কাজ করার যোগ্যতা বা মন-মানসিকতা যাদের নেই, তারা সমালোচনা করে। মাঠে গিয়ে বাস্তব অবস্থা দেখতে হয়, তবেই তো দেশ ও দায়িত্বে নিবেদিত প্রাণ। নেতৃত্ব শুধু এসিতে বসে দেওয়া যায় বলে মনে হয় না।’
সমালোচনা করতেও ছাড়েননি ঢাকার নেটিজেনরা। আমিনুল ইসলাম নামের একজন লেখেন, ‘মাননীয় মেয়র এই গর্তের মধ্যে নামবেন কেন? এই কাজ কি তাঁর? এর পরেও আতিক ভাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন, তুমুল উদ্দীপনা আছে, এজন্য সাধুবাদ জানাই।’
এম বারী নামে একজন লেখেন, ‘সেবা দেওয়ার জন্য ড্রেনে নামতে হয় না। ইচ্ছা থাকলে অফিসে বসে উন্নত সেবা দেওয়া যায়।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার তাজুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটি মোহাম্মদপুরের বছিলার লাউতলা এলাকার ছবি৷ মঙ্গলবার সেখানে খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছিল। এ সময় পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য তৈরি হওয়া ড্রেন ঠিকভাবে তৈরি করা হচ্ছে কি না, ড্রেনে নেমে মেয়র মহোদয় সেটি নিজেই দেখেন।’
মেয়র আতিকুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে বলেন, ‘বারবার বলার পরেও সংস্থাগুলো তাদের কাজ ঠিকমতো করছে না। তার দায় সিটি করপোরেশনকে নিতে হচ্ছে। মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। তাই শহরের মানুষের স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কাল থেকে এসব সংস্থা যেসব এলাকায় কাজের কারণে রাস্তা উঁচু-নিচু করে রেখেছে সেগুলো সমান করার আগপর্যন্ত তাদের কাজ বন্ধ থাকবে। যতদিন তারা কাজের অসংগতি দূর না করবে ততদিন পর্যন্ত উত্তর ঢাকার কোনো রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি চলবে না। যেসব কাজ চলছে সেগুলো বন্ধ থাকবে। রাস্তা ঠিক করেই তারা কাজে হাত দেবে।’
এদিকে, খাল উদ্ধার করতে গিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক না কেন, জনগণের সহায়তায় জিআইএস ম্যাপ অনুযায়ী নগরীর প্রত্যেকটি খালই উদ্ধার করা হবে। তিন দিনের অভিযানের ফলে অস্তিত্বহীন লাউতলা খালটি এখন দৃশ্যমান, স্থানীয় জনগণসহ যাঁদের আন্তরিক সহযোগিতায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে, তাঁদের প্রতি রইল আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’