ঢাকাবাসীর নজর কাড়বে ‘বাংলার বস’

Looks like you've blocked notifications!

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশীয় খামারিরা। ছোট-বড় দেশি পশুতে জমে উঠবে ঈদের পশুর হাট। প্রতিবারের মতো এবারও কিছু পশু নজর কাড়বে সবার। এর মধ্যে রাজধানীবাসীর নজর কাড়তে হাটে আসছে ‘বাংলার বস’। আকারে বিশাল, দেখতেও হৃষ্টপুষ্ট। পঁয়ষট্টি মণ ওজনের এ ষাঁড়ের দাম হাঁকা হবে ৫০ লাখ টাকা!

জানা যায়, বাংলার বস লালনপালন করা হয় যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হুরগাতি গ্রামে। আসন্ন কোরবানি সামনে রেখে ‘বস’কে সুস্থ সবল করে লালনপালন করেছেন বসের মালিক আসমত আলী। তাকে আনা হচ্ছে ঢাকার বাজারে। বিক্রির জন্য মালিক আসমত আলী তার দাম হাঁকিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হুরগাতি গ্রামে খামারি আসমত আলী গাইন গত বছরের কোরবানির ঈদের কয়েক দিন আগে যশোরের নিউমার্কেট এলাকার হাইকোর্ট মোড়ের এক ব্যাপারির কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকায় এ ষাঁড় কেনেন। শখ করে তিনি এর নাম রেখেছেন ‘বাংলার বস’।

বাংলার বসকে প্রতিদিন দুবেলা খাবার দেওয়া হয়। খাওয়ানো হয় খৈল, গম, ভুট্টা, বুট ও ছোলার ভুসি, চিটাগুড়, ভিজানো চাল, খুদের ভাত, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুড়া। সব মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ৯৫ কেজি দানাদার ও তরল খাদ্য খাওয়ানো হয়।

বস দেখতে বসের মতোই। তাই প্রতিদিন আসমত আলী গাইনের বাড়িতে আসেন অনেকেই।  ‘বাংলার বস’-এর মালিক আসমত আলী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “আমি নিশ্চিত আমার ‘বাংলার বস’ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এর ওজন এখন দুই হাজার ৬০০ কেজি, অর্থাৎ প্রায় ৬৫ মণ।” এ ওজনের ষাঁড় এর আগে বাংলাদেশে কখনো দেখা গেছে কি না, সন্দেহ তাঁর।

বসের মালিক আসমত আলীর দাবি, তাঁর বসকে টেক্কা দেওয়ার মতো ষাঁড় সারা বাংলাদেশে নেই। ব্যাপারিরা ইতোমধ্যে ষাঁড়টির ৩০ লাখ টাকা দাম বললেও আসমত আলী এখনো ৫০ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন।

খামারি আসমত আলী গাইন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হুরগাতি গ্রামের মৃত রজবালী গাইনের ছেলে। ২৫ বছর ধরে তিনি মীম ডেইরি ফার্মে গাভি পালন করে আসছিলেন। এ ছাড়া তিনি প্রশিক্ষণ নেওয়ায় নিজেই তাঁর গরুর চিকিৎসা দেন।