ঢাকায় করোনায় আক্রান্তের হার কমছে
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১৪ জন রোগী রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে রয়েছে আটজন রোগী ও দেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে ২৬ জন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, কয়েকদিনের ব্যবধানে ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হার কমেছে। গত ৯ এপ্রিল দেশে মোট ১১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ছিল ৬২ জন ও অন্য জেলায় ৬২ জন। এছাড়া গতকাল শুক্রবার দেশে ৯৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এর মধ্যে ঢাকায় রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৭ জন। বাকি ৫৭ জন অন্য জেলার। সে অনুপাত হিসাব করলে রাজধানীতে রোগীর হার কমছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাও অর্ধেকে নেমে এসেছে, যা আজ শনিবার এক অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন। তিনি বলেন, ‘গতকালের থেকে নতুন করে করোনা রোগী আক্রান্ত কম হওয়া এটা স্বস্তির খবর। এটা একটা ভালো সংবাদ। আমরা নতুন করে তিনটি হাসপাতালকে করোনা রোগীর জন্য সুসজ্জিত করছি। এ বিষয়ে আগেও বলেছি, বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারকে দুই হাজার বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। ঢাকা সিটি উত্তর করপোরেশনে এক হাজার ৩০০ বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। উত্তরা দিয়াবাড়িতে আমরা এক হাজার ২০০ বেডে উন্নীত করছি। সর্বমোট সাড়ে চার হাজার বেডের সংস্থান হবে। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আরো বেশ কয়েকটি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন। আমাদের বেশ কয়েকটি হাসপাতালের চিন্তা রয়েছে।’
অপরদিকে নিয়মিত বুলেটিনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, নতুন করে তিনজন সু্স্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। এতে সুস্থ রোগী সংখ্যা ৩৬ এ দাঁড়াল। যারা সুস্থ হয়ে গেছেন তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, একজন নারী। তাদের বয়স ২৬, ৫৭ ও ৫৫ বছর। অসুস্থ রোগীদের শরীরে পর পর দুটি পরীক্ষায় আমরা যখন দেখতে পাই করোনার সংক্রমণ নাই তখন তাকে ধরে নেই সে আর করোনায় আক্রান্ত নয়।
ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে রয়েছে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৭ জন ও ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছে ১৫ জন। এদের মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। ৫৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৪ জনই ঢাকা শহরের। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জে আটজন।’
আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, যে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে দুজন ঢাকার বাইরের এবং একজন ঢাকার। তাদের বয়স ৩৮, ৫৫ ও ৭৪ বছর। ৪৮২ জন শনাক্তের মধ্যে বেশির ভাগেরই বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, যা শতকরা ২২ ভাগ। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের শতকরা ১৯ ভাগ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের আছেন শতকরা ১৯ ভাগ। এর মধ্যে পুরুষ ৭০ ভাগ এবং নারী ৩০ ভাগ।'