ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে একাধিক চুক্তির সম্ভাবনার কথা জানালেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের বাংলাদেশ সফরে আসছেন। আগামী শনিবার সকালে এসে পরদিন রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর। এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে হতে পারে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর। এমন সব সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তবে, কী কী বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে তা জানাননি তিনি।
আজ প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার বলেছেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের দুই দিনের সফরে বাংলাদেশ ও চীন একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে পাঁচ-সাতটি হতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আশ্বস্ত করেন, পরিকল্পিত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে; যদিও তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ‘গভীর ও বিস্তৃত’ এবং দুই দেশ ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবে।’
শাহরিয়ার বলেন, ‘চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার সকাল ১১টায় এখানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে এবং রোববার সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন।’
দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একই দিনে মন্ত্রী ওয়াং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার সন্ধ্যায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন শাহরিয়ার।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চীন সরকারের কাছে আরও জোরালো ভূমিকা চাইবে। বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে স্থান দিয়েছে। সংকট আলোচনা ও সমাধানের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন-এই ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে।’
বাংলাদেশ আবার চীন থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার নতুন করে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি নেই।’
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্কটের মধ্যে এই সফর কী বার্তা দেবে—জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এই সফরটি এই অঞ্চলে চীনা পক্ষের নিয়মিত সফরের অংশ এবং এটি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনা করার একটি সুযোগ।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ওয়াং ই ঢাকায় এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেছিলেন। এবার, তিনি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য আসবেন।’
ওয়াং ১৯তম সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, স্টেট কাউন্সিলর ও স্টেট কাউন্সিলের লিডিং সিপিসি মেম্বারস গ্রুপের সদস্য।