‘ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে সারাদেশ সংক্রমিত হচ্ছে’
দেশের বিভিন্ন জেলায় যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে ছিলেন। এ ছাড়া এখনো পর্যন্ত করোনারোগীদের মধ্যে ঢাকার বাসাবো ও মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জে বেশি সংক্রমণ হয়েছে। এজন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার লকডাউন আরো জোরদার করতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল দেশের সব মেডিকেল কলেজের পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রায় সব জায়গায় দেখা গেছে, জেলা পর্যায়ে যারা সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আক্রান্ত ব্যক্তিদের (নিজ নিজ এলাকায় গেলে) মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। এ বিষয়ে আরো বেশি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। লকডাউন জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায়; কেননা এখনো পর্যন্ত করোনারোগীদের মধ্যে ঢাকার বাসাবো ও মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জে বেশি সংক্রমণ হয়েছে।’
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনী, পুলিশ ও এ কাজে নিয়োজিত অন্যদের লকডাউন আরো বেশি কার্যকর করার আহ্বান জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এখনও লকডাউনটা মানুষ পুরোপুরি মেনে চলছে না। আমরা দেখি, বাজারে জটলা পাকিয়ে আছে। অনেক লোক ঘোরাফেরা করছে। বাইরেও লোক অযথা ঘোরাফেরা করছে। এটি পরিহার করতে হবে। কারণ যেখানে বাইরে ঘোরাফেরা করবেন, সেখানেই সংক্রমিত হবেন। আপনারা জানেন, এরমধ্যে আমাদের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। এটা যেন না বাড়ে সেদিকে খেয়াল করতে হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনাকে মজবুত করছি। আমাদের বুঝতে হবে, হাসপাতালে লাখ লাখ লোকের চিকিৎসা কোনো দেশই দিতে পারে না। আমাদের সেদিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে আমাদের করোনা মোকাবিলার যে মূল অস্ত্র তা হলো ঘরে থাকা এবং পরীক্ষা করা। তবে আনন্দের সঙ্গে বলছি, আমরা আরো কিছু ভ্যান্টিলেটর ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করছি। পৃথিবীতে এখন এ জিনিসগুলো খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরও আপ্রাণ চেষ্টা করছি, আমরা অন্তত ৪০০-৫০০ নতুন ভ্যান্টিলেটর ও ৪০০-৫০০ অক্সিজেনের আনার চেষ্টা করছি।’