ঢাকা-১০ : বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ
ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবির এজেন্টদের আটক ও বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ধানের শীষের এজেন্টসহ মোট ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলায় বিএনপির অন্তত পাঁচ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রায় সব কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটদান শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা ও শেখ রবিউল আলম রবির প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক হয়ে সব কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। আবারও একটি ব্যর্থ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। একটি আসনে এমন নির্বাচন না করে ঘোষণা দিলেই পারত।’
বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘সরকার এতই ভীতু যে করোনা উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিতে এলেও ভোট দিতে পারছে না। নির্বাচনকে একটি প্রহসনে পরিণত করছে। নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। প্রায় ৮৫০ জন এজেন্টকে বের করে দিয়েছে।’
রবিউল আলম বলেন, ‘প্রার্থী হিসেবে আমি ভোট দিতে পেরেছি, এটা আমার সৌভাগ্য। কিন্তু জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না।’
হাজারীবাগ থানা বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান মজু জানান, নিউমার্কেট সমাজকল্যাণ কেন্দ্র থেকে বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সকাল ৯টায় হাজারীবাগ থানা যুবদলের সভাপতি লিটন ও ছাত্রদল নেতা সেলিমকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এখন পর্যন্ত ধানমণ্ডির ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কাঁঠালবাগান খান হাসান স্কুল, নিউমার্কেট বলাকা সিনেমা হল কেন্দ্র, রায়েরবাজার হাইস্কুল কেন্দ্র, রাজমশুর স্কুল, প্রগতি স্কুল কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। ধানমণ্ডির একটি কেন্দ্রে মানবজমিনের এক ফটোসাংবাদিককে সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সাংবাদিকের নাম জীবন আহমেদ।
জীবন আহমেদ বলেন, ‘আমি ধানমণ্ডির একটি কেন্দ্রে ছবি তুলতে গেলে পুলিশ আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। তারা আমাকে বলে, ১২টার পর আসার জন্য। পরে আমি অন্য একটি কেন্দ্রে গেলে পুলিশ এবং সরকারদলীয় লোকজন আমাকে বাধা দেয়।’