ঢাবি ছাত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
রাজধানীর বনানী এলাকায় এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত ইলমা চৌধুরী (মেঘলা) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তার করা ইফতেখার আবেদিনকে (৩৬) প্রথমে আটক এবং পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীর বাবা মামলা করলে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে মেঘলার মামা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে মেঘলার স্বামী ফোন করে জানায়, সে (মেঘলা) অসুস্থ এবং তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু, আমরা হাসপাতালে গিয়ে দেখি মেঘলা মারা গেছে।’
মেঘলাকে হাসপাতালে দেখে তাঁর বন্ধু মোমো বলেন, ‘আমরা তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখেছি। আমাদের ধারণা—এটি একটি হত্যাকাণ্ড।’
মেঘলার স্বজনেরা জানিয়েছেন, আট মাস আগে পারিবারিকভাবে মেঘলার বিয়ে হয় কানাডাপ্রবাসী ইফতেখার আবেদীনের সঙ্গে। স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেঘলাকে নানাভাবে নিযার্তন করে আসছিলেন তাঁর স্বামী। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বাধা দেয়া হত মেঘলাকে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আযম বলেন, এ ঘটনায় ইলমার স্বামী ইফতেখার এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে ভুক্তভোগীর বাবা সাইফুল ইসলাম রাতেই বনানী থানায় একটি মামলা করেন।
স্বামী ইফতেখারকে ঘটনার পরপরই পুলিশ আটক করে পরবর্তীকালে ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামি শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন।
ওসি বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের জের ধরে কিছু একটা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, মেডিকেল প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এটা হত্যা নাকি অসুস্থ হয়ে মৃত্যু, তা বলা যাচ্ছে না।’
গত ১১ ডিসেম্বর দেশে আসেন ইফতেখার আবেদীন। মেঘলার মা জানান, সেদিন থেকেই মেঘলার সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর গতকাল মঙ্গলবার মেঘলার শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয়, মেঘলাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ—পাশবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে মেঘলাকে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।