তরুণরাই ডিজিটাল বিপ্লবের যোদ্ধা : টেলিযোগাযোগমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকায় ওয়েবিনারে ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফেসিলিটেশন-গ্লোবাল আয়োজিত দক্ষতা উন্নয়নবিষয়ক প্রশিক্ষণে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সফল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি : সংগৃহীত

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তরুণরাই ডিজিটাল বিপ্লবের যোদ্ধা। দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তরুণদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। গ্রাম ও শহরের মধ্যে 'ডিজিটাল ডিভাইড' দূর করার মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। মোস্তাফা জব্বার তরুণ সমাজকে ডিজিটাল যুগের যোগ্য সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষক-অভিভাবকসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ওয়েবিনারে ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফেসিলিটেশন-গ্লোবাল আয়োজিত দক্ষতা উন্নয়নবিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সফল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে বিদ্যমান কর্মক্ষেত্রের বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আজকের বৈশ্বিক ডিজিটাল জীবনধারার সঙ্গে তাদের শিক্ষাজীবনের সামঞ্জস্যহীনতার কারণে কর্মক্ষেত্রে তারা বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষতা পায় না। তবে তাদের একটু গাইড করতে পারলে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটু দক্ষ করতে পারলে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে সক্ষম। এর বাইরে শিক্ষার্থীরাও ইন্টারনেট থেকে নিজে নিজেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে। ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞানভাণ্ডার।

মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, ‘পৃথিবীতে ডিজিটাল যুগ এসে গেছে। করোনা বিষয়টি আরো স্পষ্ট করেছে, মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের এখন হিড়িক পড়ে গেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর চাহিদা এখন ডিজিটাল ডিভাইস ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে আমরা মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে দিতে অনেকাংশেই সফল হয়েছি। প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে। আমরা যদি আমাদের পপুলেশন ডিভিডেন্টের সুযোগটা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি, আমাদের অগ্রগতির অগ্রযাত্রা অনিবার্য।’

‘এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে’, যোগ করেন মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার, ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফেসিলিটেশনের সভাপতি কাজী হাসান রবিন এবং শিক্ষার্থী ফাতিমা নাহিদ বক্তৃতা করেন।

বক্তারা প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদের মানবসম্পদ হিসেবে তৈরির জন্য প্রযুক্তিবিষয়ক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা বলেন, গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত তরুণদেরও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে; তরুণদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে ছেড়ে দিলে তারা নিজেরাই তাদের পথ চিনে নিতে সক্ষম হবে।