‘তাবিথের প্রচারে হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও কাপুরুষোচিত’

Looks like you've blocked notifications!
তাবিথ আউয়ালের প্রচারে গতকাল সোমবার অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরোনো ছবি : স্টার মেইল

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলায় গভীর উদ্বেগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাবিথ আউয়ালের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারে সন্ত্রাসীদের হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও কাপুরুষোচিত।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর গাবতলীর আনন্দনগর এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগের সময় তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় তাবিথসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তাবিথ আউয়াল শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানোর সময় ঠেলাগাড়ি প্রতীকের আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী মুজিব সরোয়ারের প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ওয়ার্ড নম্বর ৭-এর বড় বাজারমুখী আনন্দনগর তিনতলা মসজিদের সামনে দফায় দফায় অতর্কিতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এবং বৈশাখী টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাঈদ খান ও যমুনা টিভির রিপোর্টার রবিনসহ ১৫/২০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর হিংস্রতা যেন ততোই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আজকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসীদের হামলা পূর্বপরিকল্পিত এবং কাপুরুষোচিত। ঢাকা সিটি নির্বাচনকে একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করার জন্যই প্রতিদিন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় হামলা চালাচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এই লক্ষ্য পূরণে বিএনপি প্রার্থীর শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণাকেও সরকার বরদাশত করছে না। প্রায় প্রতিদিনই মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় হামলা করছে সরকারদলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। নিউজ কাভারেজের জন্য দায়িত্বরত সাংবাদিকরাও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। মূলত: দেশ এখন গণতন্ত্রহীন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান বিনা ভোটের সরকার বিরোধী দল ও মতকে গ্রাহ্য করছে না। মানুষের কল্যাণ নয়, বরং ক্ষমতার দাপটে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি ও ভোট কারচুপি করে গোটা দেশকে নিজেদের সম্পত্তি বানাতে চায় তারা।’