তারাবির ইমামের বেতন তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
তারাবির নামাজ পড়ানোর জন্য নিযুক্ত ইমামের বেতনের টাকা তোলা নিয়ে মসজিদের মধ্যে দুপক্ষের কথা কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বাবুল হোসেন (৪২) নামে এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তেয়াশিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার দিকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবুল হোসেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত ছাত্তার আলীর ছেলে।
আহতদের মধ্যে মুছা প্রামানিক (৫০), বাবু মুন্সী (৩২), সিয়াম (১৪), ইয়াকুব (৩২), সাবানা বেগমকে (৪৫) সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের ভাতিজা মনিরুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউসুফ জানান, তেয়াশিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক ও তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে একই গ্রামের মুছা প্রামানিক এবং তাঁর সমর্থকদের আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তারাবির নামাজ পড়ানো ইমামের টাকা তোলা নিয়ে দুপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মসজিদের মধ্যেই উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরবর্তীতে মালেক গ্রুপের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। দফায় দফায় হামলায় ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বাবুল হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে মারা গেছেন।
নিহতের শ্যালক রইচ উদ্দিন বলেন, ‘বাবুল হোসেন একজন দিনমজুর। তিনি সংঘর্ষের বিষয়ে জানতেন না। কামলা দিয়ে এসে মসজিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ অবস্থায় তার উপর উপর্যুপুরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।’
বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম হোসেন বলেন, ‘দুপক্ষের পূর্ববিরোধ থেকে মসজিদের ভেতরে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় একজন মারাও গেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশ।’