তাড়ানো যাচ্ছে না পাহাড় থেকে নেমে আসা বন্যহাতি দুটিকে!
নাফ নদের মোহনায় ঘোলারচরেই অবস্থান করছে পাহাড় থেকে নেমে আসা দুটি বন্যহাতি। কোনো মতেই হাতি দুটিকে বাগে আনতে পারছে না বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
আজ সোমবার সকালে বন বিভাগ, কোস্টগার্ড ও বিজিবি সদস্যরা ট্রলার নিয়ে হাতি দুটিকে নাফ নদের তীরের দিকে অনেক কষ্টে নিয়ে আসেন। হাতি দুটি বর্তমানে শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় অবস্থান করছে।
গত শনিবার বিকেলে হাতি দুটিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ায় নাফ নদের প্যারাবনে প্রথম দেখতে পান বনবিভাগ ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা দুদিন ধরে হাতি দুটি নাফ নদের মোহনায় জোয়ারের পানিতে খেলা করছে, ভাটার সময় বালু চরে চলে আসছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা কোনোমতেই এ হাতি দুটিকে পাহাড়ের দিকে তাড়াতে পারছেন না। দুই দিন ধরে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্যহাতি দুটি নিয়ে বিপাকে পড়েছে বনবিভাগ।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বনবিভাগ ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা হাতি দুটি বনের অভ্যন্তরে সরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে আরও ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে সরে গিয়ে বর্তমানে হাতি দুটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকা সংলগ্ন নাফ নদের ঘোলারচরে অবস্থান করছে।
গতকাল রোববার বিকেলে হাতি দুটি শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় জেটির পাশে দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ সময় শত শত উৎসুক জনতা নাফ নদের তীরে ভিড় জমায়। পরে মানুষের শোরগোল শুনে হাতি দুটি নাফ নদের মোহনার দিকে সরে যায়। কখনো কখনো আবার সামনের দিকে চলে আসে।
বনবিভাগ কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে হাতি দুটিকে বনে ফেরানো যায় সে চেষ্টা চলছে।
গত শনিবার বনবিভাগ টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ জানিয়েছিলেন, বনবিভাগ ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা হাতি দুটিতে বনের অভ্যন্তরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল, হয়তো হাতি দুটি রাতের কোনো এক সময় পুনরায় প্যারাবনে নেমে গিয়ে থাকতে পারে। হাতি দুটি টেকনাফের বনাঞ্চল থেকে প্যারাবনে গেছে না কি মিয়ানমার থেকে নাফ নদে সাঁতার কেটে এপাড়ে এসেছে, তা এখনো বলতে পারছেন না বন বিভাগের কর্মকর্তারা।