তিন দিনের ছুটিতেও আশানুরূপ পর্যটক নেই সুন্দরবনে
টানা তিন দিনের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া পড়েনি সুন্দরবনে। তিন দিনের ছুটির প্রথম দিন বৃহস্পতিবার যে পর্যটক হয়েছে, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার হয়েছে তার চেয়েও কম। কিন্তু বন বিভাগের ধারণা ছিল, প্রথম দিনের তুলনায় অন্তত তিনগুন পর্যটক বাড়বে দ্বিতীয় দিনে। বন বিভাগের পর্যটক বাড়ার সে আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ছিল ছুটির দিন। সেই সাথে রয়েছে তিন দিনের টানা ছুটি। এ ছুটির প্রথম দিন করমজলে প্রায় এক হাজার পর্যটক আসেন। কিন্তু এমনিতেই সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকে। তবে এই শুক্রবার তার ব্যতিক্রম হয়েছে। ধারণা ছিল বৃহস্পতিবারের হিসেবে শুক্রবার তিনগুন পর্যটক আসবে করমজলে। কিন্তু শুক্রবার হয়েছে তার চেয়ে কম। তবে শুক্রবার দিনগত রাতে শবে বরাতের নামাজ। তাই হয়তো লোকজন কম হয়েছে।
শুক্রবার শবে বরাতের কারণে লোক কম হলেও হয়তো শনিবার বেশি হতে পারে বলে এমন ধারণা বন বিভাগের।
তবে তিন দিনের ছুটি হলেও শবে বরাতের কারণেই পর্যটকদের আগমন কম বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও মো. এমদাদুল।
সুন্দরবনের সবচেয়ে কাছাকাছি ও আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র করমজল। সারা বছর ধরেই এই কেন্দ্রটিতে দর্শনার্থী বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া হিরণপয়েন্ট, নীলকমল, আন্ধারমানিক, কটকা, কচিখালী ও দুবলায় মৌসুম ছাড়াও বছরজুড়ে কম বেশি পর্যটকদের আনাগোনা থাকে।
বন কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, তিন দিনের ছুটির প্রথম দিনে এক হাজার লোক হয়েছিল। ভেবেছিলাম শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে তিনগুন লোক হবে। কিন্তু তা হয়নি। এখন দেখি শনিবার কি হয়?