তিন মাসে র্যাবের হাতে মৃত্যু হয়নি, যুক্তরাষ্ট্র এতেই খুশি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘গত ১০ ডিসেম্বরের পরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব বৈঠকে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গেও এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত তিন মাসে র্যাবের হাতে কারও মৃত্যু হয়নি, এতেই তারা খুশি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর।’
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও উপস্থিত ছিলেন।
ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা ওনাদের বলেছি— পরিস্থিতির উন্নয়নে আমাদের যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেটি আমরা নিচ্ছি। আমাদের সিস্টেমে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আছে, যেটি অনেক সময় কার্যকরী হয় না। সেগুলো যাতে কার্যকরী হয়, সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ড. এ কে আবদুল মোমেন আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে রয়েছে। সুখে-দুঃখে তারা আমাদের পাশে আছে। আগামী ৫০ বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।’
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৩০ মার্চ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এরপর বিমসটেকভুক্ত সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে বক্তব্য দেবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্মেলনে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর প্রধানেরা বিমসটেক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য দেবেন এবং বিমসটেক অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নসহ এ অঞ্চলকে আর্থ-সামাজিকভাবে আরও উন্নত, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। বিমসটেকের আওতায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল কার্যকরকরণ, যোগাযোগ মহাপরিকল্পনা অনুমোদন, বিদ্যুৎ গ্রিড সংযুক্তকরণ, জ্বালানি সহযোগিতা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি, সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন ও এসব বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে বিমসটেক অঞ্চলে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত, কোভিড-১৯ পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে যৌথ কৌশল নির্ধারণ এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাস ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন সহ অন্যান্য সমস্যাকে যৌথ সমস্যাবলী নিয়ে উপযুক্ত কৌশল অবলম্বনপূর্বক আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর মোকাবেলা করার আহ্বান জানাবেন।