তিন যুবককে বেঁধে নির্যাতন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ১১
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় তিন যুবককে লোহার শেকলে বেঁধে হাত-পা ভেঙে নির্যাতনের অভিযোগে স্থানীয় বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আটক অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—বালিয়া ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের ভাতিজা সিয়াম (২০), সূত্রাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ (৭০), তাঁর ছেলে সামছুল হক (৪৫) ও নাতি (১৭), পশ্চিম সূত্রাপুর মসজিদের সভাপতি মজিবর (৭০), রাজন (৩৫), শামীম (২৫), নাছিমা আক্তার (৩২) ও রাশেদা বেগম (২৭)।
এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থানে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বালিয়া ইউনিয়নের দূনিগ্রাম এলাকার মো. ইসরাফিল হোসেন, মো. শাকিল আহাম্মেদ ও মো. সজিব হোসেন বালিয়া ইউপির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মজিবর রহমানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এর জের ধরে মজিবরের সঙ্গে তাদের বিরোধের সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ ওঠে, নির্বাচনে মজিবর রহমানের বিজয়ের পর তিনি ও তাঁর সমর্থকদের হুমকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ইসরাফিল, শাকিল ও সজিব। এর মধ্যে গতকাল সোমবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান মজিবরের অনুসারীরা ওই তিন যুবককে আটক করে লোহার শেকলে বেঁধে রড, বাঁশের লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তাঁদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাটি এলাকাবাসী জানতে পারলে তারা দ্রুত লাঠিসোটা নিয়ে ওই তিন যুবকের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহত হয় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক।
পরে ওই তিন যুবককে উদ্ধারের পর সাটুরিয়া সরকারি আবাসিক হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে এবং আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।