দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচন : কেন্দ্রে ‘ককটেল বিস্ফোরণ‌’

Looks like you've blocked notifications!
ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শনিবার সকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ছবি : ফোকাস বাংলা

ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার বাহিনীর এক সদস্য আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গেছে।

তবে, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈনুল ইসলাম বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁর দাবি, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটি চকলেট পটকা বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে কেউ আহত হননি।

সরেজমিনে গিয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উদরাচপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি রয়েছে ভালো। অপর ১১টি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমর্থকদের মারধর করে বাড়ি-ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন বিএনপির কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।

দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন এবং ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে চারটি ওয়ার্ডে পুরুষ সাধারণ কাউন্সিলর পদে চারজন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে তিনটি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী থাকায় সাতজন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মেয়র পদে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মো. ওমর ফারুখ খান, বিএনপির সাইফুর রহমান স্বপন, জাতীয় পার্টির বিনোদ বিহারী ভৌমিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক আাজিজ খান।

১৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দাগনভূঞা পৌরসভা। এই পৌরসভাকে ২০১২ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত করা হয়।

এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ২৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ২১২ জন ও নারী ভোটার ১২ হাজার ৪১ জন।

নির্বাচনকে ঘিরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। টহলে রাখা হয়েছে র‍্যাব ও বিজিবি সদস্যদেরও। এ ছাড়া ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নয়টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।