মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকাফেরত এক রোগীর মৃত্যুর পর জানাজা ও দাফন শেষে জানা গেল তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে ৬৫ বছরের ওই ব্যক্তির জানাজায় শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। ওই পরিবারের সব সদস্য ও জানাজায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আজ শনিবার ওই ব্যক্তিসহ ১৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে শিবচরে।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, পাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হাওলাদার, হাইওয়ে পুলিশের ৯ সদস্য, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়িচালক, আরেক স্বাস্থ্য কর্মীসহ জেলায় ৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও মৃত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ দিন আগে শিবচরের ওই ব্যক্তির ঢাকার একটি হাসপাতালে খাদ্যনালিতে অপারেশন করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এর কয়েকদিন পর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ৪ জুন তাঁকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার শ্বাসকষ্ট থাকায় ৭ জুন তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। তাঁর বাড়ি ফেরার আকুতির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের সদস্যরা আজ সকালে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এর পর বেলা ১১টার দিক তাঁর মৃত্যু হয়। পরে তাঁর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।

এদিকে, ৭ জুনের নমুনার রিপোর্ট আজ দুপুর ১টার দিক শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। সেখানে মৃত ব্যক্তিসহ ১৭ জন করোনা শনাক্ত হয়। পরে ওই পরিবারের সব সদস্য ও জানাজায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমার গাড়ি চালকের করোনা পজিটিভ আসায় আমি হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। আমি ওই এলাকায় যেতে পারছি না। তবে স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছি।’