দাফনের ২১ বছর পরও ‘অক্ষত মৃতদেহ’

Looks like you've blocked notifications!
দাফনের ২১ বছর পর ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চরকাঠি গ্রামের মো. মুজাফফর আলী হাওলাদারের মৃতদেহ প্রায় অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ছবি : এনটিভি

ঝালকাঠিতে দাফন করার ২১ বছর পরও প্রায় অক্ষত অবস্থায় একটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অসংখ্য মানুষ ওই মৃতদেহ দেখতে ভিড় করছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চরকাঠি গ্রামের মো. মুজাফফর আলী হাওলাদার ২১ বছর আগে মারা যান। বিষখালী নদীর তীরবর্তী বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মৃতদেহ দাফন করা হয়। গ্রামটি নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাই গতকাল মঙ্গলবার সকালে মৃত মুজাফফর আলী হাওলাদারের সন্তানরা তাঁর কবর স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন। কবরটি খুঁড়লে তাতে দেখা যায়, মৃত ব্যক্তির দাফনের কাপড় যেমন ছিল, সে রকমই আছে। এমনকি মৃতদেহটিও অক্ষত আছে। শুধু চামড়াগুলো হারের সঙ্গে মিশে গেছে।

মুজাফফর আলী হাওলাদারের ছেলে মো. আবুল বাশার বলেন, ‘আমার মা তিন মাস আগে মারা যান। বাবার কবরটি নদীতে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় মায়ের কবরের কাছে বাবার কবরটি স্থানান্তর করতে চেয়েছি। কিছুদিন আগে আমার এক ভাই স্বপ্নে দেখেন বাবার কবর অন্য স্থানে স্থানান্তর করার। তাই মঙ্গলবার সকালে কবর খুঁড়তে যাই। কবর খুঁড়ে দেখি, দাফনের কাপড় যেমন ছিল, তেমনি আছে। সেইসঙ্গে দেহ অক্ষত আছে। আমরা পুনরায় বাবার লাশ মায়ের কবরের পাশে দাফন করেছি।’

গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে অলৌকিক এ ঘটনাটি দেখতে শত শত উৎসুক জনতা তাদের বাড়িতে ভিড় করে।