দিনাজপুরের স্কুলছাত্রী ঢাকা থেকে উদ্ধার, পাচারকারী দলের দুজন গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকার আশুলিয়া থেকে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সংঘবদ্ধ পাচারকারী দলের সদস্য রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার রোখসানা আক্তার ও ঘোড়াঘাটের আল আমিন। ছবি : এনটিভি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর ঢাকার আশুলিয়া থেকে সোহাগী নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ পাচারকারী দলের এক নারী সদস্যসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঘোড়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

এদিকে স্বল্প সময়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করায় খুশি পরিবার। দোষীদের দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেওয়ানপাড়ার শাহিন ফকিরের মেয়ে রোখসানা আক্তার (২০) ও দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আল আমিন (২৬)।

মেয়ের চাচা সোনা মিয়া জানান, মামার বাড়িতে আসা-যাওয়ার সুবাদে তার ভাতিজির সঙ্গে সম্পর্কে গড়ে তোলেন রোখসানা। তিনি তার ভাতিজিকে ফুসলিয়ে পাচার করার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। পরে তারা বিষয়টি আচ করতে পেরে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তার ভাতিজিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

দিনাজপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেল) শরিফ আল রাজিব জানান, গত ১৬ আগস্ট সোহাগীর চাচা ঘোড়াঘাট থানায় এসে তার ভাতিজিকে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে—এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ সময় পাচারকারী দলের দুজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শরিফ আল রাজিব বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রোখসানা সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য। তার বিরুদ্ধে আগেও মানবপাচার আইনে মামলা আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপ‚র্ণ কিছু তথ্য পেয়েছি, যা আমরা খতিয়ে দেখছি।