দিনাজপুরে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, হাসপাতালে কেউ ভর্তি নেই

Looks like you've blocked notifications!

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হননি। দিনাজপুরে এখন পর্যন্ত মোট ১৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা।

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক নির্মল চন্দ্র দাস জানান, ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে করোনাভাইরাসের জন্য ৫০টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ১০ বেডের আইসোলেশন ও সাতটি ভেন্টিলেটরসহ পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সুবিধা রয়েছে। তবে পিপিই ও এন-৯৫ মাস্কের কিছু ঘাটতি রয়েছে। মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে, যা খুব শিগগির পাওয়া যাবে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারীসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন, যাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেবেন।

পরিচালক বলেন, রোগীর সংখ্যা বাড়লে এই হাসপাতালের অন্য রোগীদের সদর হাসপাতালসহ অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে।

দিনাজপুরে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ১৩ রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায় স্বামী-স্ত্রী ও দেড় বছরের শিশুসহ পাঁচজন, কাহারোলে একজন, নবাবগঞ্জে তিনজন, ফুলবাড়ীতে একজন, পার্বতীপুরে একজন, বোচাগজ্ঞে একজন ও ঘোড়াঘাটে একজন রয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৪৮ জন, হোম কোয়ারেন্টিনে দুই হাজার ৬০০ জন। শনাক্ত হওয়া ১৩ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুস জানান, শনাক্ত হওয়া ১৩ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে মোবাইলে সার্বক্ষণিক যোগাযোগসহ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা ভালো আছেন বলেও তিনি জানান।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম জানান, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গার্মেন্টকর্মীরা দিনাজপুরে আসেন। এ জন্য দিনাজপুরকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা নিরাপদে আছি। সামাজিক দূরত্ব মানাসহ সবাইকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’