দিনাজপুর ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ

Looks like you've blocked notifications!
দিনাজপুরে লকডাউন চললেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নাই মানুষের মধ্যে। ছবি : এনটিভি

দিনাজপুর সদরে লকডাউনের আজ ১০ দিন। এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে তিনজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।  শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।

এ সময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক হাজার দুইজনের। শনাক্ত হয়েছে ৪৮৩ জন। এর মধ্যে সদরেই রয়েছে ৩১৩ জন।  জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫৮ জনে।

বর্তমানে জেলায় মোট করোনা রোগী রয়েছে এক হাজার ৬৭৮ জন।

 জেলা সিভিল সার্জন ড. আব্দুল কুদ্দুছ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যে তিনজন মারা গেছেন, এরা সদর উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে করোনার মধ্যেও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অবৈধ মোটরসাইকেল আটক, বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশিসহ সব ধরনের কাজ করছেন। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে একা পুলিশ বিভাগের পক্ষে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।’

দিন দিন করোনা বৃদ্ধি পেলেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। ১৪ দিনের লকডাউনের আজ বৃহস্পতিবার দশম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়াই মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কেনোভাবেই সাধারণ মানুষকে বাড়িতে আটকে রাখতে পারছে না। সদর থেকে বাইরের উপজেলায় এবং বাইরের উপজেলা থেকে সদরে মানুষ অবাধে যাওয়া আসা করছে।

দিনাজপুর সদরে লকডাউনে সাতটি পয়েন্টে পুলিশ, বিজিবি এবং আনসার সদস্যরা তল্লাশিসহ সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন।

করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ১০০ শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে ডা. ও নার্সরা হিমশিম খাচ্ছে। রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে কয়েক গুণ। আইসিইউ ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা অপ্রতুল।