দুই মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৩০ নভেম্বর
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আজ মঙ্গলবার অস্ত্র ও মাদক মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেন। এরপর তিনি দুই মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মাদক মামলায় সম্রাটের পাশাপাশি তাঁর সহযোগী যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমানও আসামি।
এর আগে গত বছরের ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, সম্রাটের তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখায় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মাদক আইনে করা মামলায় সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক আবদুল হালিম।
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে গত বছরের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়।
গত বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর সঙ্গে আরমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
একই দিন (৬ অক্টোবর) দুপুরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তাঁর ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া র্যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। দুই মামলার বাদী র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক।