দুদকের বরখাস্ত পরিচালক এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন খারিজ

Looks like you've blocked notifications!
দুর্নীতি দমন কমিশনের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। ছবি : সংগৃহীত

ঘুস লেনদেনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি জানিয়ে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। এই খারিজ আদেশের পর গত ১৬ জুন হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন খন্দকার এনামুল বাছির।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে এর আগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সংস্থাটি।

২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুস কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

পরে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাত পৌনে ১১টার দিকে দুদক পরিচালক ফানাফিল্লার নেতৃত্বে একটি দল মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ২৩ জুলাই জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে আসামি এনামুল বাছিরকে ডিভিশন দেওয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুদক গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।