দুর্গম দ্বীপে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে জাতিসংঘের ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ সৈকত

Looks like you've blocked notifications!
ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। ছবি : এনটিভি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত।

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলো চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে। অতিমাত্রায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরে অসংখ্য পরিবার হারিয়েছে তাদের গৃহ। সংকটে রয়েছে নিরাপদ পানি ও খাদ্যের। আর এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতেই তানভীর হাসান সৈকত ও তাঁর বন্ধুরা যাচ্ছে ঢালচরে।

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনা মহামারির কারণে জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর হাহাকার, অনুভব করছি প্রিয়জন হারানোর তীব্র ব্যথা। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে আঘাত এনেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তবে আমরা মনে করি, সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি মোকাবিলা অসম্ভব। সংকটের এই সময়ে এসে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। তাই আপনাদের সম্মিলিত সহযোগিতা নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করছি।

গত বছর করোনা মহামারির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রান্তিক মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। ছবি : সংগৃহীত

এ বিষয়ে সৈকত আজ দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, চরফ্যাশনের দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অতিমাত্রায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অসংখ্য পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে পানিবন্দি জীবনযাপন করছে অনেকেই। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর মানুষের এমন দুর্ভোগের সময় তাদের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি।

‘তাই দেশের মানুষের এমন দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক তরুণ মিলে আজ বেরিয়ে পড়ছি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের উদ্দেশে। সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা এবং কায়িক শ্রম দিয়ে ভেঙে যাওয়া ঘরগুলো পুননির্মাণ করব। ছাত্র হিসেবে আমাদের সামর্থ্য কম, কিন্তু চেষ্টা অনেক। আমাদের এই চেষ্টার পাশে যদি কেউ দাঁড়াতে চান, অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন’, যোগ করেন সৈকত।

যোগাযোগের নম্বর : ০১‌৭৫৯৫৯৫৭৮৬, ০১৬৮৪০২৩৪১১।

গত বছর করোনা মহামারির শুরুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে টানা ১২১ দিন দুবেলা খাবার তুলে দেন তানভীর হাসান সৈকত ও তাঁর বন্ধুরা। শুধু তাই নয়, ওই সময়ে বন্যা পরিস্থিতিতেও তিনি উত্তরাঞ্চলের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, দিয়েছিলেন খাদ্য সহায়তা। এসববের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতিসংঘ থেকে ‘রিয়েল লাইফ হিরো’।

এরপর চলিত বছরে লকডাউনের শুরু থেকে ঢাকার শহরের ১০ হাজার শিশুখাদ্য বিতরণ করেন। ছাত্রলীগের সহায়তায় রমজান মাসে টিএসসির আশপাশে সেহেরি বিতরণ করেন।