দেরি করে আদালতে পরী মণি, রাষ্ট্রপক্ষের অসন্তোষ

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নিয়ে আজ রোববার চিত্রনায়িকা পরী মণি আদালতে হাজির হন। ছবি : মোহাম্মদ ইব্রাহিম

রাজধানীর গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরী মণি সময়মতো আদালতে হাজির না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে পরী মণির হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট সময়ে হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আব্দুল্লাহ আবু শুনানিতে বলেছেন, ‘পরী মণির জন্য আমরা সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। কিন্তু তিনি এখনও আদালতে আসেননি। একজন আসামির সকালে আদালতে হাজির হওয়ার নিয়ম। কিন্তু তিনি সবাইকে অপেক্ষা করাচ্ছেন।’

এরপর পরী মণির আইনজীবী কামরুজ্জামান চৌধুরী শুনানিতে বলেন, ‘পরী মণি সাধারণ মানুষ না। তাঁর আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আরও এক ঘণ্টা সময় প্রয়োজন।’

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আরেক কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল  বলেন, ‘উনি কোর্টে আসুক। এরপর বিশ্রাম করুক। তারপর শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুপুর আড়াইটার দিকে শুনানির জন্য সময় ধার্য করেন।’

এর আগে গত ৪ অক্টোবর বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে পরী মণি ছাড়া আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন, আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির চৌধুরী।

গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ সময় পরী মণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরী মণি ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।

তিন দফা রিমান্ড শেষে গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ পরী মণির জামিন মঞ্জুর করেন। এর পরের দিন তিনি জামিনে মুক্তি পান।