দেশের ব্যাংক, আর্থিক সব প্রতিষ্ঠান খালি হয়ে যাচ্ছে : হাইকোর্ট

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশের হাইকোর্টের ফাইল ছবি

হাইকোর্ট বলেছেন, ‘দুর্নীতি আর ঘুষ বন্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা জোরে জোরে বাজানো যায় কি না? দেশের ব্যাংক, আর্থিক সব প্রতিষ্ঠান সব খালি হয়ে যাচ্ছে।’

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বস্তরের রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বাধ্যতামূলক মর্মে নির্দেশনা দিয়ে জারি করা রুলের শুনানিকালে আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

জাতির জনকের কণ্ঠে বিভিন্ন স্থানে দেওয়া ভাষণ ও কাউকে চিঠিপত্র লিখার পর ওই চিঠি বা পত্রের শেষে আল্লাহ হাফেজ এরপর জয়বাংলা স্লোগান দিতেন বলে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানির একপর্যায়ে মাহবুবে আলম বলেন, ‘১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ময়মনসিংহের সার্কিট হাউসে গিয়ে একটি বক্তৃতায় দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। জাতির জনক বলছিলেন, "আপনাদের কাছে আমার আরেকটি অনুরোধ হলো, যে দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে রাজি আছেন কি না? দুর্নীতি আর ঘুষ, আছেন? জবাবে জনগণ বলেছিলেন হা। আল্লাহ হাফেজ! "জয়বাংলা ।"

এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে এখন জাতির জনকের ওই বক্তৃতাগুলো জোরে জোরে বাজানো যায় কি না? দেশের ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সব খালি হয়ে যাচ্ছে।’

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘জড়িতদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সম্পদ ও পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘দেশের মাত্র ২০-২২ জন লোক দেউলিয়া হয়ে গেলে, ব্যাংকিং খাতে ধস নামবে।’

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বাধ্যতামূলক করা উচিত মর্মে বলেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বস্তরের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এই স্লোগান বলতে ও দিতে হবে।’

ওই দিন (১০ ডিসেম্বর) আদালত বলেছিলেন, ‘জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে ব্যবহার করতে দ্বিধা কোথায়? আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে এই স্লোগান ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

ডিএজি ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার  বলেন, ‘আগামী রোববার (১ মার্চ) পরবর্তী শুনানি হবে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মতামত নিবেন আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপক্ষ থেকে শুনানি করেছেন। সবার আইনগত বক্তব্য ও ব্যাখ্যা বিচার-বিশ্লেষণ করে আদালত অবশ্যই পরে একটি আদেশ দেবে।’