দেশে করোনার টিকা শুরুর এক বছর

Looks like you've blocked notifications!
দেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী দিন গত বছর ২৭ জানুয়ারি টিকা নেন গণমাধ্যমকর্মী মাসুদ রায়হান পলাশ। এনটিভির পুরোনো ছবি

তখন নভেল করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশে করোনা দিন দিন গড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড। এমন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয় টিকা কার্যক্রম।

যদিও টিকাগ্রহণ করা, না করা নিয়ে ছিল অজানা ভীতি। জনমনে এমন ভীতির মধ্যেই দেশবাসীকে করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি।

দিনটি ছিল ২৭ জানুয়ারি। গত বছরের আজকের এই দিন বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

সেদিন চিকিৎসক, সাংবাদিক, পুলিশ ও মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৬ জনকে দিয়ে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কোস্তা বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা নেন।

পরের দিন ২৮ জানুয়ারি ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে ৫০০ জনের অধিক ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি যাঁদের টিকা দেওয়া হয়, তাঁদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান শুরু হয় কোভিশিল্ড দিয়ে।

এরপর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না ও সিনোভ্যাকের থেকে টিকা আসতে শুরু করে দেশে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের গতকাল বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে প্রথম জোড টিকা পেয়েছে নয় কোটি ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩০২ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ছয় কোটি ৯৯ হাজার ৪১০ জন এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছে এক কোটি ৩৩ লাখ আট হাজার ১১৯ জন।