দেশে করোনায় আরো দুজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৯ জন

Looks like you've blocked notifications!

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো দুজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আটজন। মৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ৯০ বছর, অন্যজনের ৬৮ বছর।

এ ছাড়া এই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো নয়জন। এঁদের মধ্যে পাঁচজন পরিবারের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং দুজন বিদেশফেরত। আক্রান্তদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে। তাদের বয়স ১০ বছরের নিচে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে।

পাশাপাশি এ সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো চারজন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন। এ ছাড়া গতকাল সারা দেশে ৫৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, যে দুজন মারা গেছেন, এঁদের মধ্যে একজন ঢাকার এবং অন্যজন ঢাকার বাইরে। এঁদের হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগের উপসর্গ ছিল।

এর আগে গতকাল পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায়। এরপর ১৮ মার্চ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ।

২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।

এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল দিন দিন আরো দীর্ঘ হচ্ছে। আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ২১৭ জনে দাঁড়িয়েছে,আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৫ হাজার ৩০৬ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৩৪৯ জন।

করোনাভাইরাসে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭৬৬ জন, মোট মৃত ১৪ হাজার ৬৮১ জন; স্পেনে একদিনে মৃত ৮৫০ জন, মোট মৃত ১১ হাজার ১৯৮; যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৮০ জনের প্রাণহানি, মোট মৃত ৭ হাজার ৩৮৮; ফ্রান্সে একই সময়ে মারা গেছে ১ হাজার ১২০ জন, মোট মৃত ৬ হাজার ৫০৭; এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে ৩ হাজার ৬০৫, চীনে ৩ হাজার ৩২২, ইরানে ৩ হাজার ২৯৪, বেলজিয়ামে ১ হাজার ১৪৩, নেদারল্যান্ডসে ১ হাজার ৪৮৭, জার্মানিতে ১ হাজার ৩০৬, তুরস্কে ৪২৫, সুইডেনে ৩৩৩, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৭৪, কানাডায় ১৮৩, ইন্দোনেশিয়ায় ১৮১, জাপানে ৭৭, মালয়েশিয়ায় ৫৩, ইসরায়েলে ৪০, অস্ট্রেলিয়ায় ২৮, ভারতে ৭১, পাকিস্তানে ৪০ ও সৌদি আরবে ২৫ জন মারা গেছেন।