দেশে করোনা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার করোনার নমুনা সংগ্রহ করেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। ছবি : ফোকাস বাংলা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। দেশে করোনা শনাক্তের হার ২০ শতাংশেরও বেশি হয়েছিল গত বছরের মে মাসের শেষের দিকে। সেখান থেকে কমতে কমতে এই হার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন শতাংশের নিচে নেমে আসে। গত কয়েকদিন ধরে আবার করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। আজ মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে।

বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও আগের দেওয়া স্বাস্থ্য অধিধপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

গত বছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার কম ছিল। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। এরপর গত বছরের আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। একপর্যায়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা তিন শতাংশে গিয়ে ঠেকে। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের গড় হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৭৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরও তিন হাজার ৫৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। দেশে মোট পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার ২৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৮৩৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৯৯৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি ল্যাবে ২৫ হাজার ৯৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৬ হাজার ৩৫৭টি। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৮ জন মৃতের মধ্যে পুরুষ ১২ জন ও নারী ছয়জন। দেশে এ পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছে ছয় হাজার ৬০৭ জন ও নারী দুই হাজার ১৩১ জন। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন ও ষাটোর্ধ্ব ১০ জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন ও রংপুর বিভাগের একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ১৭ জন ও বাড়িতে একজন মারা গেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু ঘটে গত বছরের ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়।